বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে সাতক্ষীরা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সাথে অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ এতে গ্রহণ করেন। রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনারোড মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
এসময় তারা শহরের নিউমার্কেট মোড়ে থাকা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে খুলনারোড মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সাতক্ষীরা শহর।
অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা এসময় “আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিবোনা, “এক দফা, এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি, “ভুয়া-ভুয়া নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে। তারা সেখানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে কাঁদা ছুড়ে মারে। পরে পুলিশ এসে তা পরিষ্কার করে দেন। আন্দোলকারীরা সেখানে দুই ঘন্টা অবস্থান করে ফিরে যান।
মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে সাতক্ষীরার জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় ।
তবে, সবধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে রোববার সকালে সাতক্ষীরা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেজুতি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ প্রমূখ।
অবস্থানকর্মচারী কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএজে