স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাতুল মারা গেছে।
সোমবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে সে মারা যায়।
রাতুল বগুড়া উপশহরের পথ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ওই এলাকার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমানের ছেলে সে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকালে নাশতা না করেই রাতুল বোন বগুড়া মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থী জেরিন সুলতানা ও রাতুলের ভগ্নিপতি আমির হামজার সঙ্গে চলে যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। একসময় মিছিল নিয়ে তারা বগুড়া সদর থানার অদূরে ঝাউতলার কাছে পৌঁছায়। তখন বৈষম্যবিরোধী মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আহত হয় রাতুল।
রাতুলের বড়বোন জেরিন জানান, তার পাশেই ছিল রাতুল। হঠাৎ রাতুলের মাথায় চারটি ছররা গুলি লাগে। এরমধ্যে একটি গুলি রাতুলের বাম চোখের মধ্য দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। এরপর আরও অসংখ্য গুলি লাগে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। অজ্ঞান অবস্থায় তার বোন জেরিন ও তার ভগ্নিপতি তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতলে নিতে বলেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পর তার মাথায় অস্ত্রপচার করা হয়। মগজের ভেতর থেকে একটি গুলি বের করেন চিকিৎসকরা।
রাতুলের মা বলেছিলেন, গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে আন্দোলনে যাওয়ার আগে রাতুলকে বলেছিলাম, ‘বাবা বিকালের নাস্তা খেয়ে যাও।’ জবাবে ছেলে বলেছিল, ‘দেখি স্বৈরাচার হাসিনার শেষ পরিণতি কি হয়। শুধু দোয়া করো যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারি।’
খুলনা গেজেট/এনএম