শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্ব ব্যবস্থায় টিকে থাকার একমাত্র মানদণ্ড যোগ্যতা। এ কারণে সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ শিল্প বিপ্লবকে ধরতে হবে, এর অংশীদার হতে হবে। এরমধ্যেই অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয়ের নবনির্মিত শেখ রাসেল জিমনেশিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়। আমাদের বৃত্তের বাইরে গিয়ে চিন্তা করতে হবে। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা ও সনদ নির্ভর। ফলে শিক্ষায় আনন্দ নিয়ে আসতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে জ্ঞান অর্জন না করে। যাতে তারা অনন্দঘন শিক্ষা উপভোগ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, অতিমারির নানা সমস্যার সাথে নতুন নতুন দ্বারও উম্মোচন হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে হতো। কিন্তু অতিমারির কারণে ইতিমধ্যে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা চলে এসেছে এবং এটা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
যবিপ্রবির নবনির্মিত জিমনেশিয়ামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুল মজিদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ফিতা কেটে জিমনেসিয়ামের উদ্বোধন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পন ও গাছের চারা রোপণ করেন।
২২ হাজার ২৮০ বর্গফুটের আন্তর্জাতিকমানের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ জিমনেশিয়ামটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন