চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে লোকোমোতিভ মস্কোর মাঠে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন জশুয়া কিমিচ। তার দারুণ গোলে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
মস্কোতে মঙ্গলবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। শিরোপাধারীদের হয়ে অন্য গোলটি করেন লেয়ন গোরেটস্কা। আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচই জিতল হান্স ফ্লিকের দল।
ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারায় লোকোমোতিভ। সতীর্থের ক্রসে খুব কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর হেড করেন রাশিয়ান ফরোয়ার্ড ফেদর স্মলোভ।
দারুণ এক আক্রমণে ত্রয়োদশ মিনিটে এগিয়ে যায় প্রথম ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারানো বায়ার্ন। কোরোঁতাঁ তোলিসোর ক্রস ডান দিকে খুঁজে পায় বাঁজামাঁ পাভার্দকে। প্রথম স্পর্শে চমৎকার ভলিতে তার বাড়ানো ক্রসে ছয় গজ বক্সের মাথায় হেডে বল জালে পাঠান গোরেটস্কা।
২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। কিন্তু কিংসলে কোমানের প্রচেষ্টা বাধা পায় পোস্টে। বিরতির আগে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন পাভার্দ। পরের মিনিটে স্বাগতিক মিডফিল্ডার দানিল কুলিকোভের শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান মানুয়েল নয়ার।
৬৪তম মিনিটে ডি-বক্সে লোকোমোতিভের এক খেলোয়াড় রবের্ত লেভানদোভস্কিকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন তিনি।
৬৯তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন কোমান। একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক, কিন্তু ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে বল উড়িয়ে মারেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে কাছ থেকে প্রথম টোকায় জাল খুঁজে নেন আলেকসেই মিরানচুক।
এরপর তিন মিনিটের মধ্যে দুটি সুযোগ হারায় লোকোমোতিভ। ৭৯তম মিনিটে বায়ার্নের জয়সূচক গোলটি করেন কিমিচ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক হাফ ভলিতে বল জালে পাঠান এই জার্মান মিডফিল্ডার। স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্লিকের দল।
খুলনা গেজেট/এএমআর