যশোরের চৌগাছা পৌর এলাকার বাসিন্দা খাঁন মঞ্জিলের মালিক রফিকুল ইসলাম খাঁন। ৬৫ বছর বয়সের মধ্যে ৩১ বছরই কাটিয়েছেন সুদুর কুয়েতে। ইছাপুর গ্রামে তৈরি করেছেন মনোমুগ্ধকর দুইতলা একটি বাড়ি। এবার দেশে ফিরে বাড়ির প্রধান গেইটসহ দৃষ্টিনন্দন করে সাজাতে চেয়েছিলেন গোটা বাড়ি এলাকা। নিজ বাড়িতে তিনি ফিরলেন ঠিকই কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে। চলতি মাসের ১ তারিখে কুয়েতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
মরহুমের বড় ছেলে রাজু আহমেদ খাঁন জানান, তার পিতা রফিকুল ইসলাম খাঁন প্রায় ৩১ বছর ধরে কুয়েতে একটি কোম্পানীতে চাকরি করতেন। কোম্পানী কর্তৃপক্ষের সাথে তার বাবার দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠে, প্রবাস জীবন শেষ করে অনেকবার বাড়িতে চলে আসতে চাইলেও তিনি সংশ্লিষ্টদের মায়ার জাল ছিড়ে আসতে পারেননি।
গত মাসের ৩০ তারিখ রাতে পিতা হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত কুয়েতের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ আগষ্ট ভোর ৫ টার দিকে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ২ ছেলে আর ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চেষ্টা আর কোম্পানীর সার্বিক সহযোগীতায় বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে কুয়েত থেকে পিতার মরদেহ বহনকারী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দুপুর ১২ টার দিকে কফিনে মোড়ানো পিতার নিথর দেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়ি ইছাপুরে। এদিন বাদ যোহর ইছাপুর গ্রামেই নামাজে জানাজা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. এম মোস্তানিছুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য দেওয়ান তৌহিদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান লাল, পৌর বিএনপির আহবায়ক সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার, যুগ্ম আহবায়ক হাজী আব্দুল হালিম চঞ্চল, এসএম শফিউদ্দিন, জামায়াত নেতা গোলাম মোর্শেদ, মাষ্টার কামাল আহমেদ, পৌর কাউন্সিলর আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম