একটা মায়ার বন্ধনে নিজেকে বার্সার সঙ্গে বেধে ফেলেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। লিওনেল মেসির সঙ্গে জুটিটাও তার গড়ে উঠেছিল বেশ। নেইমার যখন ছিলেন, তখন তাদেরকে বলা হতো ত্রিফলা, এমএসএন। নেইমার চলে গেলেও মেসির সঙ্গে বার্সার দুই মানিক রতন হয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজও।
কিন্তু গত মৌসুমটা সব এলোমেলো করে দিয়েছে। একটা শিরোপাও জিততে পারেনি বার্সা। সবচেয়ে ফ্লপ এবং বাজে একটি মৌসুম কাটিয়েছিলেন সুয়ারেজও। সর্বশেষ বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের হারের লজ্জার পর বার্সায় পুরোপুরি বাতিলের খাতায় চলে যান উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকার।
এরপর বার্সা এলেন নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। তিনিও ঘোষণা দিলেন, সুয়ারেজসহ বেশ কয়েকজনকে আর চান না। সে মতে, বার্সায় যে সুয়ারেজের আর জায়গা নেই, সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যান তিনি। অথচ, তার আগেই তিনি বলেছিলেন- প্রয়োজনে সাইড বেঞ্চে বসে থাকবেন। তবুও বার্সায় থাকতে চান।
তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। বার্সা ছেড়ে দিয়েছে তাকে। এমনকি বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু জানিয়ে দিয়েছেন, এক বছরের চুক্তি বাকি থাকলেও ফ্রি ট্রান্সফারে যে কোনো ক্লাবে যেতে পারবেন সুয়ারেজ।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, জুভেন্টাসে রোনালদোর জুটি হতে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সাম্প্রতিক খবর, জুভেন্টাস নয়, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দিতে যাচ্ছেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। অ্যাটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনেই খুব করে চাচ্ছেন সুয়ারেজকে দলে নিতে।
এরই মধ্যে বার্সার সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকেবুকে দিয়েছেন মেসির সতীর্থ। কাতালান ক্লাবটি থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি অ্যাটলেটিকোয় যোগ দেয়ার জন্য। এ সময় তার চোখ দিয়ে পানি ঝরতে দেখা গেছে। অর্থ্যাৎ, দীর্ঘদিনের ক্লাবটিকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি সুয়ারেজ।
ন্যু ক্যাম্পের সদর দরজা দিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েই চোখের পলকে চলে গেলেন, কারো সঙ্গে কোনো কথা বললেন না, বলতেও চাইলেন না। শুধু দেখা গেলো, তার চোখ অশ্রুসিক্ত।
খুলনা গেজেট/এএমআর