নিজের চোখেও দেখেননি, কানেও শোনেননি কিন্তু হয়েছেন ঘটনার সাক্ষী। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার ঘটনায় মামলা করে পুলিশ যে স্থানীয়দের সাক্ষী দেখিয়েছে তারা কিছুই জানেন না। তাদের দাবি, এক প্রকার ভয়েই পুলিশের কথা মত সাদা কাগজে সই করে বনে গেছেন এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী। পুলিশের উল্লেখিত তিন সাক্ষীর মধ্যে দু’জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
মেজর (অব.) সিনহা মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় সাক্ষী করা হয় মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, মো আইয়াস ও হামিদকে। তিন জনের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে কথা হয়। এক নম্বর সাক্ষী নুরুল আমিনের দাবি, নিজের চোখে কিছুই দেখেননি তিনি।
সিনহার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাকে অন্যরা বললো, আমি ফোন দেই আইসি লিয়াকতকে। শেষে ২৫২৪ নাম্বারে। সাংবাদিকদের একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন সেই মামলার আরেক সাক্ষী মারিশবুনিয়ার মো. আইয়াস। জানান, ঘটনার পর স্থানীয় ফাঁড়িতে ডেকে নেয়া হয় তাদের। সকালে টেকনাফ থানায় নিয়ে সাক্ষর করানো হয় সাদা কাগজে। পুলিশের আরেক সাক্ষী আইয়াস বলেন, আমি স্বেচ্ছায় সাক্ষী না। জোর করে অনেকগুলো কাগজে সই করাইছে। সাদা কাগজেও সই। তাদের বলার উপায় আছে? এটা তো টেকনাফ!
বিষয়টি নিয়ে চাপে আছেন পুলিশের এজাহারে উল্লেখ করা সাক্ষীরা। তবে, মেজর (অব.) সিনহা রাশেদের মৃত্যুর পর টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলার বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কেউ কথা বলেননি।
খুলনা গেজেট/এনএম