অভিনেত্রী ও মডেল রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। শোবিজের বাইরেও তার একাডেমিক ক্যারিয়ার নিয়ে রয়েছে বেশ সুপরিচিতি। এছাড়াও লেখালেখিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ খারাপ সময়ের মধ্যেই কাটাচ্ছেন মিথিলা। সামাজিক মাধ্যমে তার প্রোফাইল ঘাঁটলেই বুঝতে বাকি থাকবে না যে এই মুহূর্তে এক শোকাবহ পরিস্থিতির মাঝে কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী।
তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, মূল ছবির বদলে কালো পর্দা! একের পর এক শোকসন্তপ্ত পোস্ট; ক্যাপশনের কথাগুলো যেন অভিনেত্রীর শোকে ভেঙে পড়ার প্রতিফলন।
কিন্তু কী এমন হল অভিনেত্রীর? সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে শুক্রবার ফেসবুক পোস্ট করেন মিথিলা। এর আগে সদ্য প্রয়াত দেশের কালজয়ী সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবরও তাকে মর্মাহত করে তোলে। সব মিলিয়ে দেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে বেশ হতাশ তিনি।
এই মুহূর্তে কলকাতার সৃজিতের ঘর ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় বাবার বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন মিথিলা। এরই মধ্যে অভিনেত্রী তার বিষাদে ভরা মনে কিছুটা শক্তি সঞ্চার করতে মেয়ের সঙ্গে কবিতা পাঠ করতে বসলেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তা শেয়ার করে লেখেন, ‘স্কুলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। আব্বু সকাল সকাল আমার মেয়েকে বাংলা পড়াতে বসলো। বাংলা পাঠ্যবই ‘আমার বই’ এর প্রথম কবিতাটাই হলো কাজী নজরুল ইসলাম এর ‘সংকল্প’ কবিতা। সেই ছোটবেলা থেকেই কবিতাটা আমার মুখস্থ। তাই আমিও যোগ দিলাম কবিতাপাঠে।’
এরপর কবিতার অংশ তুলে ধরে তিনি লিখলেন,
‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে
দেখবো এবার জগৎ টারে
কেমন করে ঘুরছে মানুষ
যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
ছুটছে তারা কেমন করে।
কিসের নেশায় কেমন করে
মরছে যে বীর লাখে লাখে
কিসের আশায় করছে তারা
বরণ মরন যন্ত্রণাকে।’
এরপর থামলাম। আবার এই চার লাইন পড়লাম।
‘কিসের নেশায় কেমন করে
মরছে যে বীর লাখে লাখে
কিসের আশায় করছে তারা
বরণ মরন যন্ত্রণাকে।’
সব শেষে তিনি লিখলেন, ‘চোখ ভিজে এলো। মাথা নত হলো।’
খুলনা গেজেট/এমএম