খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
সাতক্ষীরায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি

চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব, যা বলছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় দিন দিন বাড়ছে চোখ ওঠা বা চোখের প্রদাহ রোগী। জেলার প্রত্যেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ।আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। স্থানীয় হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চোখের প্রদাহে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে ওষুধের দোকান গুলোতে চোখের ড্রপের বিক্রি বেড়েছে। একই সাথে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধের দোকান গুলোতে দেখা দিয়েছে চোখে ব্যবহারের ড্রপ সংকট।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরম আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। একে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ প্রদাহ। সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই বেশি পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াছে হওয়ার ফলে আশে পাশের লোকজনের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মীর মাহফুজ আলম বলেন, হাসপাতালের আউটডোরে দেখানো রোগীর মধ্যে ৪০ শতাংশই কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য রুমাল, তোয়ালে, বালিশসহ জামা কাপড় অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হতে পারে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সাবেক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অমল কুমার বিশ্বাস জানান, নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখের কোনায় ময়লা জমে। চোখ ফুলে যাওয়াও চোখ ওঠার লক্ষণ। চোখ খুব বেশি লাল হলে, চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, চোখ ওঠা রোগকে আমরা ভাইরাস কনজাংটিভাইটিস বলে থাকি। এটা সিজনাল রোগ। গরমে এই রোগ বেশি হয়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাস ইনফেকশন হচ্ছে। এবিষয়ে সকলে পরিষ্কার পরিছন্নতা থাকলে এই রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!