দু’ঘন্টা চুক্তিতে রাত ৯টার দিকে রাফির ইজিবাইক ভাড়া নেয় চার খুনী। গল্লামারী থেকে প্রথমে তারা খানজাহান আলী সেতুর দিকে যায়। পুনরায় তারা আবার জিরোপয়েন্টের দিকে ফিরে আসে। চালকের সাথে তারা বন্ধু সুলভ আচরণ করে গাঁজা সেবনের কথা বলে। তাদের কথায় সরল বিশ্বাসে চালক রাফি ওইদিন রাতে লবনচরা থানাধীন ডেসটিনির পরিত্যক্ত মাঠে গাঁজা সেবন করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। পরে তার ইজিবাইকটি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে দেয় খুনীরা।
হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ৪জন বুধবার (১৯ এপ্রিল) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। জবানবন্দি প্রদান করা আসামি হল সাব্বির, সজীব, রহিম ও স্বপন।
এর আগে তাদের স্বীকারোক্তিতে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মোঃ আরিফ শেখ, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, মোঃ সেকেন্দার ও মঞ্জুশ্রী বৈরাগী।
লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এনামুল হক বলেন, ২ এপ্রিল রাতে ইজিবাইক ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে গল্লামারী থেকে দু’ঘন্টা চুক্তিতে রাফির গাড়ি ভাড়া নেয় খুনীরা। এরপর তাকে নিয়ে প্রথমে রূপসা ব্রিজসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরতে থাকে। তাঁর সাথে বন্ধু সুলভ ব্যবহার করে। পরে লবণচরা থানাধীন ডেসটিনির ফাঁকা নির্জনস্থানে দাঁড়িয়ে গাঁজা সেবনের কথা বলে। তাদের কথায় সরল বিশ্বাসে সাড়া দিয়ে তাদের হতে খুন হতে হয় রাফিকে। খুন করার পর রাফির ইজিবাইকটি খন্ড খন্ড করে বটিয়াঘাটায় বিক্রি দেয় তারা। এরপর গাড়ির ব্যাটারি খুলে নগরীর ডালমিল এলকায় বিক্রি করে তারা।
ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস ছিল। আসামিদের শনাক্ত করতে পুলিশের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু তারা পুনরায় একই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে সোমবার পুলিশের হাতে আটক হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ছুরি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে রাফি হত্যাকাণ্ডের বিবরণ জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি