সব ধরণের প্রশাসনিক জটিলতা দ্রুত নিরসন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চীনে কাঁকড়া রপ্তানির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।বাগেরহাট জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ভাগা এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে বাগেরহাট, মোংলা, দিগরাজ, চালনা, ফয়লা, রামপাল, ভাগাসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত কাকড়া ব্যবসায়ী, বিভিন্ন কাকড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও সহস্রাধিক খামারী অংশগ্রহণ করেন।
মানবন্ধনে বক্তৃতা করেন রামপাল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল উদ্দিন দুলাল, বাংলাদেশ কাকড়া ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাট জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দীপঙ্কর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন হাওলাদার, দ্বিগরাজ বাজার কাকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফ বিল্লাহ, মোংলা কাকড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতা উকিল উদ্দিন ইজারাদার, বাগেরহাট বাজার কাকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অসীম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সাধণ কুমার সাহা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বাগেরহাট জেলা থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমান কাকড়া রপ্তানী হত চীনে। যা থেকে দেশে অনেক বিদেশী মুদ্রা আসত। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে টানা প্রায় ৫ মাসের অধিক সময় চীনে কাকড়া রপ্তানী বন্ধ রয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কাঁকড়া শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত জেলার লক্ষাধিক পরিবার। রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যাংক ঋনের চাপ আর সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘চীনে এক কেজি কাকড়া বিক্রি করতাম ১৫‘শ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। সেই কাকড়ার কেজি এখন বিক্রি করতে হয় মাত্র ৩‘শ থেকে ৪‘শ টাকা। যার ফলে কাকড়া চাষী ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে কাকড়া খামারীরা নিস্ব হয়ে যাবে।কাঁকড়া শিল্প, ব্যবসায়ী ও খামারীদের বাঁচাতে অবিলম্বে চীনে দেশে কাঁকড়া রপ্তানী কার্যক্রম চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম