বাগেরহাটের চিতলমারীতে মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে ‘সাসটেইনেবল কোস্টল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্প’ ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ২২৬ একর জমিতে সরকারের সহযোগিতায় স্মার্ট পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালনায় এখানে ৭৮ জন নারী ও ৩২২ জন পুরুষ মৎস্য চাষি নিরলস ভাবে কাজ করছেন। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ।’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরে এ সম্মেলন হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক মুন্সি দেলোয়ার হোসেন, সেলিম সুলতান সাগর, মো. সাফায়েত হোসেন, কপিল ঘোষ ও মো. মেরাজুল ইসলাম খান প্রমূখ।
চিতলমারী উপজেলায় ১৬ হাজার মৎস্য ঘের ও ৬ হাজার ৯৫৮ টি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ঘেরে বাগদা এবং ১৩ হাজার ৫০০ ঘেরে গলদা চিংড়ির চাষ হয়। মাছ চাষিরা উভয় ঘের ও পুকুরে চিংড়ি মাছের সাথে সাদা মাছের চাষ করেন। এখানের চাষিরা বছরে ৫ হাজার মেট্রিকটন গলদা চিংড়ি, ৩ হাজার মেট্রিকটন সাদা মাছ ও ৪০০ মেট্রিকটন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করে থাকেন।
খুলনা গেজেট/এএজে