বাগেরহাটের চিতলমারীতে ১৪৯ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। করোনা ভাইরাসের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সনাতন ধর্মাবলন্বিরা এ বছর দূর্গা পুজা পালন করবেন। প্রতিটি মন্দির চত্বর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। সে লক্ষে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
চিতলমারী কুরমনি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি দেবাশিষ বিশ্বাস জানান, দেবীর আমন্ত্রণ’র মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হবে। আগামী ২২ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দিন ব্যাপী দূর্গা দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দূর্গাপূজা। দশমী পূজা ও বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে এ উৎসবের। এবার করোনা ভাইরাস মহামারীর কারনে দুর্গোপূজায় প্রতিমা বিসর্জন কালে কোন শোভা যাত্রা করা যাবেনা বলে উপজেলা প্রশাসন আগ থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ডপে প্রবেশের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে। দোকান পাট বা কোন মেলাও বসছেনা এবারের দুর্গোউৎসবে। পূজামন্ডপ গুলোতে চলছে প্রতিমা শিল্পদের শেষ মুহুর্তের রং তুলির আচড়। এবার মন্ডপে আলোকসজ্জা তোরণ নির্মাণসহ সাজসজ্জা সবই হবে। বাজবে না শুধু মাইক বা সাউন্ড বক্স।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রশসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মন্ডপ গুলোতে স্থায়ী পুলিশ পাহারা ছাড়াও থাকছে পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম। শারদীয় দুর্গোপূজায় এক হাজার ৭৬০ জন আনসার সদস্য ও অর্ধ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম জানান, এ উপজেলায় ১৪৯ টি মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গোউৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কোন দোকান পাট ও মেলা বসানো যাবে না। বাজানো যাবে না মাইক বা সাউন্ড বক্স। ব্যাবহার করা যাবে না কোন আতশ-বাজি। বিসর্জনের সময় কোন শোভাযাত্রা করা যাবে না। নিরাপত্তার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
খুলনা গেজেট/কেএম