খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

‘মোবাইল পার্টির’ খপ্পরে শিক্ষক, বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ছবি

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ‘মোবাইল ফাইল পার্টির’ খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। ওই পার্টির সদস্যরা তাঁকে কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ছবি তুলেছেন। এ সময় তাঁরা শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে ৬টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ৫ লাখ টাকা দাবী করে ছেড়ে দেয়।

পরে ওই শিক্ষক ন্যায় বিচারের আশায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বিষয়টি মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় উত্থাপন করে ওই চক্রের সদস্যদের আইনগত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

গত ১৭ জানুয়ারী উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভার রেজুলেশনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।

পিরোজপুরের নাজিপুর উপজেলার কবিরাজবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সতীন্দ্র নাথ ঢালীর লিখিত অভিযোগপত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চিতলমারী উপজেলার রতনপুর এলাকার একটি পরিবারের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই পরিবারটি তাঁকে গত ১১ জানুয়ারী বাড়িতে ডেকে নেয়। ডেকে নিয়ে ওই চক্রের আরও ৬ সদস্য প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় ‘মোবাইল পার্টির’ সদস্যরা তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল সেট এবং চাবির গোছা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাঁরা শিক্ষককে বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ছবি তোলে এবং ৬টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ৫ লাখ টাকা দাবি করে ছেড়ে দেয়।

কবিরাজবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সতীন্দ্র নাথ ঢালী মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনায় তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি এখনও তাঁর মোবাইল ফোন ও চাবির গোছা ফেরত পাওয়ার আশায় আছেন।

চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাবুল হোসেন খান বলেন, ওই চক্রটি এ ধরনের কাজ করেই চলছে। এখনই ওদের দমন করা উচিত। না হলে সামনে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি সংঘ বদ্ধ চক্রের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। বিষয় গুলি তদন্ত করে আইনগত শাস্তির আওতায় আনা উচিত। কেননা এর সাথে এলাকার সম্মান জড়িত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষটির ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এএইচএম কামরুজ্জামান খান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ওই প্রধান শিক্ষককে মামলার জন্য বারবার অভিযোগ দিতে বলছি। তিনি তা দিচ্ছেন না। অপরদিকে, ওই চক্রটিকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ওরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!