বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার যুবক সাধন ঢালীকে মুখ ও হাত-পা বেধে নির্মম নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী টুটুল মোল্লা ওরফে ইসমাইল আদম (৪০) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (৩ জুন) ভোরে খুলনা লবনচরা থানা এলাকা থেকে চিতলমারী থানা পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এদিন বেলা ১২ টার টিকে পুলিশ তাঁকে বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী গ্রেপ্তার করায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ পুলিশের প্রশংসা করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত টুটুল মোল্লা গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার করপাড়ার রাজ্জাক মোল্লা ওরফে আজহার আলীর ছেলে। সে বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুইয়াকুল গ্রামে বসবাস করে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৩১ মে সকাল ৭ টার দিকে প্রতিবেশী রাজ্জাক মোল্লার ছেলে টুটুল মোল্লা ও তাঁর শ্যালক কলিগাতি গ্রামের আকরাম শেখের ছেলে মাহমুদ শেখ জোরপূর্বক সাধন ঢালীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁরা টুটুলের রুইয়ারকুল গ্রামের পাকা বাড়ির একটি রুমের মধ্যে নিয়ে মুখ, হাত ও হাত-পা বেধে হাতুড়ী এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এক ঘন্টা যাবৎ নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে গ্রামবাসিরা একত্রিত হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সাধনকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ১ জুন আহতর বড় ভাই ভজন ঢালী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার প্রধান আসামী ছিলেন গ্রেপ্তারকৃত টুটুল মোল্লা। পুলিশ এর আগে এই মামলার দুই আসামী মেজবা হাসান (২২) ও আসিব শেখ (১৯) কে গ্রেপ্তার করে আদলতে প্রেরণ করেছে।
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য গৌতম বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য উমা রানী মন্ডল, ডেডেন ব্রহ্ম ও মাজারুল ইসলামসহ এলাকাবাসিরা বলেন, ‘মামলা দায়েরের মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামীসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ পুলিশের প্রশংসা করেছে। আমরাও পুলিশের কর্মকান্ডে খুশি।’
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, সাধন ঢালীকে নির্যাতনের ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে সাথে সাথে মামলা রুজ্জু করা হয়। মামলাটি আমরা অতি গুরুত্বের সাথে দেখছি। মামলার প্রধান আসামী টুটুল মোল্লাসহ ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে টুটুল মোল্লার পরিবার এটাকে তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করে আসছেন। তাঁদের দাবী জায়গা-জমি বিরোধের জের ধরে এলাকার একটি মহল তিলকে তাল করছে।