বাগেরহাটের চিতলমারীতে মারামারি করে মো. মোস্তাফা শেখ (৫০) মো. এরশাদুজ্জামান (৫৫) নামে দুইজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা সেটেলমেন্ট দপ্তরে খুলনা জোনাল অফিসের নোটিশ জারিকে কেন্দ্র করে এ মারামারি হয়। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে মো. এরশাদুজ্জামানকে গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। আহত মো. মোস্তাফা শেখ চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও মো. এরশাদুজ্জামান নালুয়া গ্রামের মো. মোবারক আলী শেখের ছেলে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধীবক্তব্য পাওয়া গেছে।
মোঃ মোস্তাফা শেখ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি সেটেলমেন্ট দপ্তরে কাজ করি। পেশকার শেখ নাসির উদ্দিন আমাকে ১৯৫/২৩ মিস কেসের নোটিশ জারি করতে আদেশ দেন। ওই কেসের বিবাদী মো. এরশাদুজ্জামানকে ৪-৫ দিন ধরে খোঁজার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা সেটেলমেন্ট দপ্তরের সামনে তাকে পাই। এ সময় নোটিশ দিতে দেরী হলো কেন প্রশ্ন তুলে সে আমাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাত ঠেকাতে গেলে দুজনার মধ্যে হাতাহাতি হয়। তার ইটের আঘাতে আমি রক্তাক্ত জখম হয়েছি।’
মো. এরশাদুজ্জামান বলেন, ‘উক্ত মামলাটির ধার্য তারিখ আগামী ২২ অক্টোবর। মাঝে দুইদিন সরকারি বন্ধ। কেসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সময়ের প্রয়োজন। সে আমাকে ইচ্ছা করেই দেরী করে নোটিশ দিয়েছে। বিষয়টি আমি অফিসের পেশকার শেখ নাসির উদ্দিনকে জবাবদিহি করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে না পারায় আমি ভারপ্রাপ্ত সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার পরিমল কান্তি শিকদারকে জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. মোস্তাফা শেখ কলম দিয়ে আমার কপালে চোখে আঘাত করে। তার আঘাতে আমি রক্তাক্ত জখম হয়েছি।’
চিতলমারী সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অফিসে জনবল কম থাকায় আমি দীর্ঘদিন ধরে মো. মোস্তাফা শেখকে দিয়ে নোটিশ জারিসহ বিভিন্ন কাজ করিয়ে আসছি। আমি অন্যদের মত অবৈধ টাকা ইনকাম করি না। মো. এরশাদুজ্জামান বিরুদ্ধে তার ভাই মো. এমরানুজ্জামান এই মামলা করেছে।’
এ ব্যাপারে চিতলমারী সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কান্তি শিকদার বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি টিফিনে ছিলাম। খুলনা জোনাল অফিসের নোটিশ পেশকারের মাধ্যমে জারি করা হয়। নোটিশটি বাদী ও বিবাদীকে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে যে ঘটনা ঘটেছে এটি অফিসের বাইরের ঘটনা।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা করব।’
খুলনা গেজেট/ টিএ