সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাটের চিতলমারীতে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) বেলতলায় পূজার মাধ্যমে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব শুরু হয়। সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের বাজনায় মুখরিত হয়ে ওঠে মন্ডপ এলাকা। এ বছর ভক্তদের কাছে দেবী আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন চিতলমারীবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পূজাকে ঘিরে কঠোর অবস্থান ও সজাগ দৃষ্টিতে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে তাঁরা সাধারণ, গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপ গুলো চিহ্নিত করেছেন।
এ উপজেলায় ১৫৩ টি মন্দির। এখন ১৪৩ টি মন্ডপ পূজা হবে। বাকি ১০টিতে বাসন্তী পূজা হবে। এই ১৪৩ টি মন্দিরের মধ্যে ৬৮ টি মন্ডপ সাধারণ, ৪৪ টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৩১ টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। পূজাকে কেন্দ্র করে মাঠে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
এ জন্য কাজ করবে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ২৫ টি টিম এবং সাদা পোশাকধারী পুলিশ। বিশেষ মন্দির গুলোয় থাকবে গোয়েন্দা। সোমবার দুপুরে এমনটাই বলেছেন উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় জানান, ভোর থেকেই শুরু হয়েছে পূজার কার্যক্রম। সকালে মন্দিরের বেলতলায় জবা, শিউলিসহ বিভিন্ন ফুল দিয়ে কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মাধ্যমে দেবী দূর্গাকে আমন্ত্রণ জানান পুরোহিতরা। এ সময় অঞ্জলি দিতে উপস্থিত হয়েছেন দেবী ভক্তরা। অঞ্জলি শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে।
চিতলমারী পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। এখানে সম্প্রীতির বন্ধন খুব অটুট। তারপরও যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আমরা সজাগ দৃষ্টিতে রয়েছি।’
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন আলী বলেন, ‘এ উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে তথ্য আমাদের কাছে নখদর্পনে রয়েছে। এখানে দুর্গোৎসব হবে সামাজিক দূরত্ব মেনে আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই