‘সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধমীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা হিন্দুরা ধর্মীয় আচার ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করে থাকেন। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলে নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে মন্দিরে-মন্দিরে উৎসবে মেতে ওঠেন। বাংলার প্রতিটি হিন্দু প্রধান এলাকায় দেখা যায় আনন্দের বন্যা। এ বছরও দুয়ারে কড়া নাড়ছে দেবীর আগমনী বার্তা। মায়ের আগমন উপলক্ষে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ১৪৯টি মন্দিরে চলছে সাজ সাজ রব ও প্রতিমা গড়ার কাজ।’
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চিতলমারী উপজেলার শাখার সভাপতি স্বপন কুমার রায়।
তিনি আরও জানান, এ বছর মহালয়া ২৫ সেপ্টেম্বর, মহা পঞ্চমী ৩০ সেপ্টেম্বর, মহা ষষ্ঠী ১ অক্টোবর, মহা সপ্তমী ২ অক্টোবর, মহা অষ্টমী ৩ অক্টোবর, মহা নবমী ৪ অক্টোবর ও বিজয়া দশমী ৫ অক্টোবর।
চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অপূর্ব দাস জানান, এ বছর এ উপজেলায় ১৪৯ টি মন্দিরের তালিকা করা হয়েছে। এই ১৪৯ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শেখ লিয়াকত আলী জানান, দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। পূজা উপলক্ষে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা ‘সামাজিক-সম্প্রীতি’ কমিটির সভা ও শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা হবে। উক্ত সভায় বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ‘প্রতিটি মন্দিরেই পূর্ণ উদ্যোমে কাজ চলছে। উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজা পালিত হবে। সে লক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। আমরা সব কিছু নিয়মিত তদারকি করছি।’
খুলনা গেজেট/এসজেড