বাগেরহাটের চিতলমারীর সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে তথ্য গোপন করে এক ব্যাক্তি চাকুরী গ্রহণ করেছেন। এমন অভিযোগ তুলে ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ রুপালী বেগম লাইন ডাইরেক্টর ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (অতিরিক্ত সচিব) ১০ টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
রুপালী বেগমের দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদটি দীর্ঘ দিন ধরে শূণ্য ছিল। শূণ্য থাকায় উপজেলা থেকে একজন স্বাস্থ্য কর্মি সপ্তাহে একদিন এসে জনধাসারণদের স্বাস্থ্য সেবা দিতেন। মানুষের চরম ভোগান্তি হয় বলে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী তারিখের স্মারক নং-স্বাঃ অধিঃ/সিবিএইচসি/কঃ ক্লিঃ/সিএইচসিপি/নিয়োগ-০৯/(গ্রেড (১১-২০)/২০১৮/২৬৬ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তথ্য গোপন করে পাশ্ববর্তী হিজলা ইউনিয়নের বাসিন্দা ভুমিকা বর্মন নামের এক ব্যাক্তি চিতলমারী সদর ইউনিয়নের সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকুরী নেন। তিনি ২০১৮ সালে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে চাকুরী নিলেও কোন দিনই সুরশাইল কমিউিনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা দেননি। ফলে বছরের পর বছর অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাছাড়া তিনি তথ্য গোপন করে উক্ত পদে নিয়োগ গ্রহণ করেছেন।
উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১ নং শর্তে স্পষ্ট লেখা রয়েছে প্রার্থীকে ক্লিনিকের একই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিস্থা হতে হবে। কিন্তু ভুমিকা বর্মন হিজলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১২ নং শর্তে স্পষ্ট লেখা রয়েছে নিয়োগ প্রাপ্তির পরেও অসত্য ও ভূয়া প্রমানিত হলে নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং মিথ্যা ও ভূল তথ্য সরবরাহ করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ভূমিকা বর্মন শুধু অসত্য ও ভূল তথ্য দিয়ে চাকুরী গ্রহন করেন নাই। তিনি জালিয়াতীর মাধ্যমে বেতন ভাতাও গ্রহণ করেছেন। অভিযোগপত্রে রুপালী বেগম এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উক্ত তথ্য গোপনকারী ভূমিকা বর্মনের বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ভুমিকা বর্মন বলেন, এ ব্যপারে যা জানার তা চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানবেন। আমি কিছুই বলতে পারব না।’
তবে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মামুন হাসান বলেন, রুপালী বেগমের করা অভিযোগপত্রটি আমি পেয়েছি। নিয়োগটি আমি এখানে দায়িত্ব পাওয়ার আগে হয়েছে। এ ব্যাপারে সেন্টালের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন ভূমিকা বর্মনের চাকুরী বহাল থাকবে। ৎ
খুলনা গেজেট/ টি আই