বাগেরহাটের চিতলমারীতে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।বিকালে উপজেলার দড়িউমাজুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষরা একটি ঘর ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দড়িউমাজুড়ি গিরিঙ্গির মোড়ে রবিনা বসু ও বিমল বসুর মধ্যে একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার (২৭ জানুয়ারী) দুপুরে ওই জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বরিনা পক্ষের রবিনা বসু (২২), তার স্বামী তপন গাইন (৪০) ও প্রতুল বসু (২০) এবং বিমল বসু পক্ষের বিমল বসু (৬০), তার স্ত্রী প্রিয়া বসু (৫০) ও ছেলে তনয় বসু (২৩) আহত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা একটি নতুন ঘর ভাংচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্বার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
চিকিৎসাধীন রবিনা বসু বলেন, দড়িউমাজুড়ি মৌজার বিআরএস ৫৯৮ নং খতিয়ানের ২৯৫৭ নং দাগে আমার ৬ শতক রেকর্ডীয় জায়গা। দুপুরে ওই জায়গায় ঘর তুললে প্রতিপক্ষ বিমল বসু আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ সময় বিমল বসুর ভাড়াটিয়া বাহিনী কাঠের ঘরটি ভাংচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে পোড়ায় দেয়। এ ঘটনায় আমার স্বামী তপন গাইন বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিমল বসুর ছেলে তনয় বসু বলেন, ওই জায়গাটি আমাদের পূর্ব পুরুষের জায়গা। আমরা ভোগ দখল করে আসছি। রবিনার লোকজন ঘর তুললে তাদের বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে তারা আমাদের আহত করে। এ ঘটনায় আমার বোন বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন