আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ১৬১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বসে এ ঘোষণা দেন। সচিবের এ ঘোষণায় নড়েচড়ে উঠেছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চেয়ারম্যান ও মেম্বার (ইউপি সদস্য) প্রার্থীরা। করোনাকালীন সময়ে ঝিমিয়ে থাকা প্রার্থীরা নড়েচড়ে উঠলেও ভোটের মাঠে নামছেন না কেউ। তারা ফেসবুকে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চিতলমারী সদর বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে এমনটাই জানালেন সাধারণ ভোটাররা।
ভোটার ফজলু তালুকদার, বকিয়ার মোল্লা, আকছসার আলী শেখ ও সুবাস বিশ্বাস বলেন, প্রথম ধাপে এখানে ১১ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারি করোনার প্রভাবে নির্বাচন স্থগিত করে দেন নির্বাচন কমিশন। এরপর দ্বিতীবার তারিখ নির্ধারণ হলে সে তারিখও স্থগিত করা হয়। তাই প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে ঝিমিয়ে পড়েন প্রার্থীরা। এক প্রকার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েন সাধারণ ভোটারদের সাথে। আমাদের কেউ কোন খাঁজ-খবর নেননি। শুনেছি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীকে ভোট চাইতে দেখছি না। অনেক ইউনিয়নে তো আবার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভোট করা লাগবে না। প্রার্থী না থকায় তাঁরা বিনা ভোটে হয়ে যাবেন। কিন্তু যাদের ভোট লাগবে তাদের তো একটু মাঠে নামা উচিত।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন সদস্য প্রার্থী বলেন, কয়েক দফা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কারণে আমরা মহা বিপাকে আছি। আর যে সব ইউনিয়নে একক চেয়ারম্যান প্রার্থী সেই সব ইউনিয়নের সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীরা জানেন জ্বালা কারে কয়।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ সারাদেশে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ৭৩৯ টি ইউনিয়নের সাথে চিতলমারী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে চিতলমারী সদর, বড়বাড়িয়া ও কলাতলাসহ তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বার (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি শিবপুর, হিজলা, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকা শুধুমাত্র ইউপি (সাধারণ ও সংরক্ষিত) সদস্য পদে নির্বাচন হবে। এ উপজেলায় মোট ৭টি ইউনিয়নে ৬৩ টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্র। যার বুথ সংখ্যা ৩০২টি। এ উপজেলায় মোট ভোটার এক লাখ নয় হাজার ১৭৭ জন। এদেরমধ্যে ৫৬ হাজার ৭৫ জন পুরুষ, ৫৩ হাজার ১০১ নারী ও তৃতীয় লিংঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম