বাগেরহাটের চিতলমারীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রকল্পের মোটা অংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের পক্ষে তুষার বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে তুষার বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, অনাদি মন্ডল ও ফুলমালা বর্মন দম্পতি তাদের ছেলে তীর্থ’র নামে হিজলা ইউনিয়নের ঠিকানায় ‘তীর্থ আদিবাসি সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে একটি সমিতি গঠন করেন। যার কার্যালয় হিজলা গ্রাম থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের বেন্নাবাড়ি এলাকায়। ওই সমিতির সভাপতি পদে স্ত্রী ফুলমালা বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক পদে স্বামী অনাদি মন্ডল। পদ গ্রহণের মাধ্যমে তারা ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়মের মাধ্যমে ভুয়া সদস্য দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা অত্মসাতের করেন। এ ছাড়াও সমিতিরি নামে বরাদ্দকৃত টার্কি মুরগীর ফার্মের ৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, সমিতির অর্থে নিজের নামে ১২ লখ টাকার জমি ক্রয়, কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নামে কয়েক লাখ টাকা লোপাট, ৫ লক্ষাধিক টাকার মাহেন্দ্র নিজের দায়িত্বে রাখা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীদের নামের আসা উপবৃত্তির টাকা জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন।
এ ছাড়াও অন্য একটি সমিতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দরিদ্র লোকদের নামে আসা কয়েক লাখ টাকা আত্মসাত করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।
এ ব্যাপারে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অনাদি মন্ডল বলেন, আমার স্ত্রী সভাপতি ও আমি সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সমিতি গঠনের পর থেকে নিয়ম অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীদের নামে যে সকল অর্থ, বাইসাইকেল, শিক্ষা উপকরণ এসেছে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের উপস্থিতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষে একটি পক্ষ বিভিন্ন দপ্তরের ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন আলী বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আবু মুসা ও সমবায় কর্মকর্তা মোল্লা সাইফুল ইসলামের সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
খুলনা গেজেট/কেএম