কি বলব বাবা, ভোটারদের ভরসা এখন মেম্বর প্রার্থীরা। নির্বাচনে ওই পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। তাদের কাছে ভোটারদের খুব কদর। তারা নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। বিপদে-আপদে ছুটেও আসেন। চেয়ারম্যান পদের সাম্ভব্য প্রার্থীদের গনসংযোগ কম। তাই নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও তাদের প্রচার-প্রচারণায় কোন উত্তাপ নেই। তারা সবাই চেয়ে আছেন দলীয় প্রতীক নৌকার দিকে। এ উপজেলায় জামায়াত-বিএনপির কোন প্রার্থী মাঠে নেই। তাই তাদের ধারণা দলীয় প্রতীক নৌকা পেলেই বিনা প্রতিদ্বন্দতিায় জয়লাভ নিশ্চিত। সে জন্য অনেকের সাধারণ ভোটারদের নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারে বসে প্রায় অভিন্ন সুরে এমনটাই বললেন ভ্যান চালক আকবর আলী ও কৃষক বিশ্বদেব মন্ডল।
তারা আরও জানান, নির্বাচন এলে দু’চার মাস আগে থেকে নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে থাকে। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। তারপরও বসে নেই সাম্ভব্য মেম্বর প্রার্থীরা। তারা ভোটারের ভোটের আশায় ছুটে বেড়াচ্ছেন ওয়ার্ডের গ্রামে গ্রামে, বাড়িতে বাড়িতে। চাইছেন দোয়া ও আশির্বাদ। সাম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সেই ভাবে মাঠে বের না হলেও ভোটাদের মুখে প্রচার হচ্ছে অনেকের নাম। মুখে মুখে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন-
১ নং বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ : বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার মাসুদ, সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান পান্না, মুন্সি গাউসুল হক ও সৈয়দ নুহুর আলী।
২ নং কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ : বর্তমান চেয়ারম্যান শিকদার মতিয়ার রহমান, মোঃ বাদশা শেখ, মোঃ এখলাছুর রহমান।
৩ নং হিজলা ইউনিয়ন পরিষদ : বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী, জগদীশ চন্দ্র বাড়ৈ, কাজী আবু শাহীন ও মোঃ নাজমুল হাসান।
৪ নং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ : বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান কাকা মিয়া ও শেখ শামিম আনোয়ার বাবু।
৫ নং চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ : বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন শেখ, শেখ কেরামত আলী ও দেবাশিষ বিশ্বাস।
৬নং চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ : বর্তমান চেয়ারম্যান অর্চণা বড়াল ঝর্না, সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল কৃষ্ণ মন্ডল, শান্তনু রানা রূবল, মিলন কান্তি বাড়ৈ ও সুধাংশু বৈরাগী।
৭নং সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদ : বর্তমান চেয়ারম্যান সামিয়া রহমান বিউটি, এ্যাড. শম্ভু নাথ রায়, হরেন্দ্র নাথ শিকদার ও মল্লিক রেজাউল করিম। এছাড়াও অনেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে পারেন।
এ ব্যাপারে সাম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. শম্ভু নাথ রায়, কাজী আবু শাহীন, জগদীশ চন্দ্র বাড়ৈ ও মল্লিক রেজাউল করিম বলেন, শুধু মাত্র দলীয় প্রতীক নৌকা পেলেই নির্বাচন করব। দলের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নয়।
তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ সারাদেশে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ৭৩৯ টি ইউনিয়নের সাথে চিতলমারী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে আগামী ২০২১ সালের মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। উপর মহলের মৌখিক নির্দেশে কেন্দ্র পরিদর্শন চলছে।
এ উপজেলায় মোট ৭টি ইউনিয়নে ৬৩ টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্র। যার বুথ সংখ্যা ৩০২টি। এ উপজেলায় মোট ভোটার এক লাখ নয় হাজার ১৭৭ জন। এদেরমধ্যে ৫৬ হাজার ৭৫ জন পুরুষ, ৫৩ হাজার ১০১ নারী ও তৃতীয় লিংঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে। তফশীল ঘোষণার আগে পর্যন্ত ভোটার সংখ্যা বাড়বে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন