বাগেরহাটের চিতলমারীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অসহায় বিধবার ক্ষেতের পাকা ধান কাটার অভিযোগ উঠছে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে সেই ধান জব্দ করে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই ধান ইউপি সদস্য মোঃ পলাশ তালুকদারের জিম্মায় রাখা হয়। এ ঘটনায় গ্রামবাসিরা ক্ষোভে ফুসে উঠেছেন।
পাটরপাড়া গ্রামের দীন ইসলাম বাদশা শেখ, আকসার আলী শেখ, নজরুল ইসলাম শেখ, মাহামুদা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তাঁদের গ্রামের এবাদত খান ২ বছর আগে মারা যান। মৃত্যু আগে তিনি সকল জায়গা-জমি তাঁর স্ত্রী সাহানারা বেগম ও মেয়ে সালমা আক্তারের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হন এবাদত খানের ছোট ভাই হামেদ খান। সে এবাদত খানের স্ত্রী ও মেয়েকে ভিটামাটি ছাড়া করতে বিভিন্নভাবে হয়রানি অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন। এরই অংশ হিসাবে শনিবার সকালে আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও হামেদ আলী খান ও তার ছেলে লিন্টু খানের নেতৃত্বে আড়–য়াবর্নি ডরপাড়া গ্রামের ১৫-২০ জনের একটি ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী সাহানারা বেগম ও সালমা আক্তারের জমির পাঁকা ধান কেটে নিয়ে যায়।
সাহানারা বেগমের জামাতা সুমন আহম্মেদ শিমুল জানান, বাধা দিতে গেলে ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন তাঁদের উপর হামলা করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে হামেদ খানের বাড়ি থেকে ধান জব্দ করে স্থানীয় পলাশ মেম্বারের জিম্মায় রাখে।
বিধবা সাহানারা বেগম বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমার স্বামী মেয়ে ও আমার নামে তার যাবতীয় সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে গেছেন। এটা আমাদের জীবনে কাল হয়ে দাড়িয়েছে। দেবর হামেদ আলী খান ও তার লোকজন সম্পত্তির জন্য আমাদের খুন জখম করতে পারে। ভয়ে আমরা মা-মেয়ে বসত-বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছি।
ঘটনার পর থেকে হামেদ আলী খান ও তাঁর ছেলেরা পলাতক থাকায় তাঁদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হামেদ খানের স্ত্রী মনোয়রা বেগম জানান, ওই ঘেরের ভিতরের ১৫ শতক জমি তাঁর ছেলে লিন্টু ও মাসুম পাটরপাড়া গ্রামের কাদের তালুকদারের কাছ থেকে কিনেছেন। সেই জমি থেকে তাঁরা ধান কেটেছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ কাটা ধান জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের জিম্মায় রেখেছে। আদালতে ওই জমি নিয়ে মামলা চলমান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ কাজ করছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড