আইপিএম (সমন্বিত বালাই ব্যাবস্থাপনা) পদ্ধতিতে মাত্র ১০ মাসের পরিচর্যায় সাফল্য দেখা দিয়েছে। গাছে আশানুরূপ ফুল ও ফল ধরেছে, ফলনও বেড়েছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে চাষিরা অবশ্যই লাভবান হবেন।
সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে এমনটাই জানালেন আইপিএম পদ্ধতিতে নারকেল চাষ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রবীর কুমার বিশ্বাস। তিনি আরও জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে চিতলমারী উপজেলায় নারকেল উৎপাদন একেবারে কমে গেছে। ফলে নারকেল চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েন। তাই উৎপাদন বাড়াতে ১০ মাস আগে চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ধীরেন্দ্র নাথ বাগচীর ২৫ টি নারকেল গাছ আইপিএম পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয়। চাষাবাদ শেষে এ পদ্ধতিতে সাফল্য দেখা দিয়েছে।
এ উপলক্ষে রবিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার টেকের বাজারে ১০০ জন নারকেল চাষিকে নিয়ে ‘কৃষক মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়াটেকের ফিল্ট ফ্যাসিলেটর মোঃ জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিতলমারী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরোজ কুমার বাগচী, শংকর মজুমদার, ক্যামনিক্সের বিথিকা হাজরা ও মাহামুদ হাসান।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিফাত-আল-মারুফ জানান, আগের তুলনায় নারকেল ও সুপারির ফলন অনেক কমে গেছে। তাই আইপিএম পদ্ধতিতে নারকেল গাছের পরিচর্যা করলে ফলন বাড়বে এবং চাষিরা লাভবান হবেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ