বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ভাইয়ের কাছে পাওনা টাকার দাবিতে আমরণ অনশনরত কবিতা সরকার তিন দিনের মাথায় বুধবার (৯ নভেম্বর) অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জুস খাইয়ে তার অনশন ভঙ্গ করান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন দুপুর একটার দিকে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথের পাশে অনশনরত অবস্থায় তাকে রোদে শোয়া অবস্থায় কাতরাতে দেখা যায়। তখন যাতায়াতের সময় অনেকে তার পাশে টানানো অনশনের ব্যানারটি পড়ে সমবেদনা প্রকাশ করলেও কেউ তার সুস্থ্যতার জন্য মেডিকেলে খবর দেয়নি। অসুস্থতার খবর শুনে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল দুইটার দিকে কবিতাকে জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। তবে তার পাওনা টাকা আদায় হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, বুধবার দুপুর দুইটার দিকে অনশন ভঙ্গের পর উপজেলা প্রশাসন কবিতার পাওনা টাকা আদায়ের ব্যাপারে তাৎক্ষনিকভাবে পদক্ষেপ নেয়। চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ লিয়াকত আলী, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান এসএম মাহাতাবুজ্জানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ কবিতার ভাই সুব্রত সরকার ও কবিতা সরকারের উপস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করেন।
বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে কবিতা সরকার জানান, উপযুক্ত কোন সমাধান হয়নি। তাই আগামী দিন (বৃহস্পতিবার) তিনি জেলা পর্যায়ে অনশনে বসবেন। আলোচনাকালে সুব্রত সরকার নগদ দুই লাখ টাকা অথবা নয় শতক জমি তাঁকে দিতে চায়। যা তাঁর দাবীকৃত ২০ লাখ টাকার তুলনায় নগন্য। তাই তিনি তার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ভাইয়ের কাছে পাওনাকৃত ২০ লাখ টাকা আদায়ের দাবীতে কবিতা সরকার গত সোমবার (০৭ নভেম্বর) এই অনশন শুরু করেন। চিতলমারী উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অনশন শুরু করেন। সেখানে সন্ধ্যার পর সেখানে প্রতিকুল পরিবেশে বসে থাকতে না পেরে জায়গা বদল করে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জুস খাইয়ে তার অনশন ভঙ্গ করান।
খুলনা গেজেট/ টি আই