৩৮ বছর বয়সী সুনীতা দেবী। অসুস্থ্য হয়ে ভারতের পূর্বঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার দু’টি কিডনি চুরি হয়ে গেছে। যা নিয়ে ওই এলাকাই রীতিমতো হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে। পরে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কিডনি চেয়েছেন তিনি। বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস।
খবরে বলা হয়, সুনীতা দেবী বিহারের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা। সম্প্রতি সেখানকারই একটি স্থানীয় হাসপাতালে জরায়ুর অস্ত্রোপচার করানোর জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
নারীর অভিযোগ, অস্ত্রোপচার করে জরায়ু বাদ দেওয়া দূরে থাক, দুটি কিডনিকেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই কিডনি জোড়া কোথায় তা জানেন না রোগী বা রোগীর স্বজনরা।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরই সুনীতার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরে দ্রুত তাকে শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, সুনীতার দুটি কিডনির একটিও নেই। চিকিৎসা হিসেবে ডায়ালিসিস করানোর জন্য তাকে পাটনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
রোগীর পরিবার ওই বেসরকারি হাসপাতাল এবং তার মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে শাস্তিস্বরূপ অভিযুক্ত চিকিৎসকের দু’টি কিডনি ভুক্তভোগী রোগীকে দেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে সুনীতা দেবীর কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য তাকে ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (আইজিআইএমএস) নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। তবে সেটি তখনই করা হবে যখন কিডনি পাওয়া যাবে।
আর এ কারণেই ভুক্তভোগী সুনীতা দেবী পুলিশের কাছে অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করে তার কিডনি নিয়ে তাকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।