খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

চালের দাবীতে মৎস্য কর্মকর্তার দ্বারস্থ চিতলমারীর জেলেরা

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে চালের দাবীতে জেলেরা এবার উপজেলা মৎস্য দপ্তরে হাজির হয়েছেন। জেলে কার্ডের চাল না পাওয়ায় সোমবার (২৩ মে) দুপুরে তাঁরা অফিসের মধ্যেই মৎস্য কর্মকর্তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় জেলেরা চাল বিতরণে নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন মৎস্য কর্মকর্তার কাছে। কর্মকর্তা জেলেদের সকল অভিযোগ শুনে লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দেন এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

স্থানীয় মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ২ হাজার ৪২৫ জন কার্ডধারী মৎস্যজীবী রয়েছেন। সরকার মা মাছ সংরক্ষণের জন্য জনপ্রতি ২০ কেজি, জাটকা সংরক্ষণের জন্য ৪ বার জনপ্রতি ৪০ কেজি করে ১৬০ কেজি ও সাগরে যাওয়া জেলেদের জন্য জনপ্রতি ৬৫ দিনে ৬৫ কেজি চাল বিতরণ করেন। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলেদের মধ্যে জাটকা সংরক্ষণের প্রথম ধাপের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এতে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের সাবোখালী জেলে পল্লীতে চাল বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

চালের দাবীতে মৎস্য দপ্তরে আসা সাবোখালী জেলে পল্লীর অসহায় মৎস্যজীবি সমীর বিশ্বাস, বিনয় বিশ্বাস, রেবতি বিশ্বাস, অতুল বিশ্বাস, সুজন বিশ্বাস, পরিমল বিশ্বাস, অনাদী বিশ্বাস, রমেশ বিশ্বাস, মৃণম্ময় বিশ্বাস, সুধন বিশ্বাস, মোন বিশ্বাস, বাসু বিশ্বাস, বিমল বিশ্বাস, গোপাল বিশ্বাস, ভিম বিশ্বাস ও নরেন বিশ্বাসসহ অসংখ্য জেলেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) যাঁরা চাল পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যাক্তিই ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী। অথচ অসহায় ব্যাক্তিরা সরকারি সাহায্য থেকে বার বার বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই অভিযোগ জানাতে ও চাল পাওয়ার দাবিতে তাঁরা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে এসেছিলেন। তিনি লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চিতলমারী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘কেউ মৎস্যজীবী কার্ড পেতে চাইলে তাঁর যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমরা ঢাকা পাঠাই। তাঁরা কার্ড পাঠান। আমরা সেই কার্ড বিতরণ করি। সরকার বছরের নভেম্বরে মা ইলিশ সংরক্ষণে একবার ও জাটকা সংরক্ষণে ৪ বার মৎস্যজীবিদের মধ্যে চাল বিতরণ করে থাকেন। এটা অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অসহায় ও দরিদ্র জেলেরা পাবেন। আর এসকল দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ চেয়ারম্যান-মেম্বাররা পালন করে থাকেন। ভুক্তভোগিদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন>> ‘চাল পাইছে ধনাঢ্যরা, বঞ্চিত সমিরের মতো দরিদ্ররা’

চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৎস্যজীবিদের মধ্যে চাল বিতরণে অনিয়মের ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশের পর ধনাঢ্যদের কাছ থেকে চাল ফেরত এনে অসহায় গরীব জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!