খুলনার চালনা পৌরসভায় দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প (জিওবি এবং এডিবি) এর আওতায় বৌমার গাছতলা বাজার সংলগ্ন চালনা খালে নির্মিত স্লুইচ গেটটি প্রবল জোয়ারের পানির চাপে ধ্বসে পড়ছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা উন্নয়নে খাল, পুকুর, খননসহ ১৩ টি কাজের মধ্যে চালনা খালের স্লুইচ গেটি নির্মিত হয় এবং গত ১২/৭/২৩ ইং তারিখে উদ্বোধন করা হয়।
সূত্রে আরও জানা যায়, রিলায়েবল বিল্ডার্স আল মামুন এন্টারপ্রাইজ (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজগুলি করছে। এই কাজের মোট বরাদ্দ ২৬, ৩৯, ৭২৪.২৮ টাকা। চুক্তিমূল্য ২৩, ৭৩, ৫৮.২৯৪.৯৪ টাকা।
এ সকল কাজ করিয়ে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত প্রতিনিধি শাহিনুর রহমান জানান, ভুল ডিজাইনের কারণে গেটের তলদেশের মাটি ও প্লাস্টার সরে গিয়ে গেটটি ধ্বসে পড়ছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে জোয়ারের পানির চাপে নব নির্মিত গেটটির তলদেশ ও উপরে ঢালাই ছাদ ধ্বসে গিয়ে অবাধে এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। আজ অবধি এ গেটটি মেরামত না হওয়ায় পানি অবাধে সরা-ভরা করছে। পানির কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কৃষকদের আমন ও ইরি ফসলের মাঠ ডুবে যাচ্ছে এবং অনেকের ধান মারা গেছে।
পার চালনা ৭ নং ওয়ার্ডের কৃষক মনিরুল ইসলাম, দিলীপ মন্ডল এবং চালনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আবদুল কুদ্দুস বলেন, এলাকায় এ গেট দিয়ে অবাধে পানি প্রবেশ করায় আমাদের রোপা ইরি ও আমন ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। অনেক জায়গায় ধান মরে পচে গেছে। এমনভাবে ধানের ক্ষেত আরও কিছু দিন জলমগ্ন থাকলে ধান ক্ষেত সম্পূর্ণ রুপে বিনষ্ট হতে পারে।
যেহেতু স্লুইচ গেটটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধের উপর নির্মিত সেহেতু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্তৃত্ব আছে কিনা জানতে চাইলে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, যে স্লুইচ গেটটি চালনা পৌরসভা নির্মাণ করেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। সে কারণে গেটটি মেরামতের দায়িত্ব চালনা পৌরসভার।
এ বিষয়ে কথা হয় চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস এর সাথে তিনি বলেন, আগামীকাল জিও ব্যাগ ফেলে গেটটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম