খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  জয়পুরহাটে ঘন কুয়াশায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত
  রাজধানীর হাতিরঝিলের ফুলনপুরায় দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত ২

চাল আমদানিতে শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমল

গে‌জেট ডেস্ক

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি শুল্ক মওকুফ ও রেগুলেটরি ডিউটি বা আবগারি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে চালে শুল্ক-কর মিলিয়ে ২৫.৭৫ শতাংশ কর প্রযোজ্য ছিল। যা কমে ১৫.২৫ শতাংশ করা হলো। ফলে সবমিলিয়ে চালে শুল্ক কমল ১০ শতাংশের কিছু বেশি। রোববার (২৮ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে, যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। নতুন আদেশ অনুযায়ী, চাল আমদানিতে এখন রেগুলেটরি ডিউটি বা আবগারি শুল্ক ৫ শতাংশ, আগাম আয়কর ৫ শতাংশ ও অগ্রিম কর ৫ শতাংশসহ মোট ১৫. ২৫ শতাংশ শুল্ক কর দিতে হবে। আর এই আদেশ আটোমেটেড চাল ছাড়া সব ধরনের চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। একইসঙ্গে আমদানির আগে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার অনুমোদন নিতে হবে।

গত ৩০ মে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এক মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। আজ সরকার শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিল।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজ বিকেলে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলার ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং বিএডিসি ও বিসিআইসি সার ডিলারদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আমদানি শুল্ক আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ কমিয়ে আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ করে রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। প্রজ্ঞাপন জারির পর পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ শুল্কে চাল আমদানি করা যাবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকবে। আগে যেখানে বছরে দেড় লাখ মেট্রিক টন ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হতো, এখন সেখানে প্রতি মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হবে। এতে বাজারে চালের দামে প্রভাব পড়তে বাধ্য। কারণ, যারা ওএমএস চালের কিনবেন এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাবেন, তাদের বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না।

ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি বরদাশত করা হবে বলে হুশিঁয়ারি দেন খাদ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো ডিলার ওএসএম কিংবা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারকালে যদি ধরা পড়ে কিংবা কোনো অনিয়ম করেছে, তা হলে সে যে-ই হোক না কেন, ছাড় পাবে না। আগে জরিমানা করা হতো। এখন র‌্যাব ও পুলিশও মাঠে নামছে। অনিয়মের কারণে গ্রেপ্তার হলে আমার সাধ্য নেই তাকে ছাড়ানোর।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!