কতদিন পর মাঠে। মিরপুর শের-ই-বাংলাকে কখনো এমন দেখেননি মুমিনুল হক। কত বছর ধরে এ মাঠে তার আসা-যাওয়া। কত স্মৃতি জড়িয়ে হোম অব ক্রিকেটে। অথচ মিরপুরের সবুজ আচ্ছাদন দেখছেন প্রথমবার।
করোনাকালে অচেনা নিস্তব্ধতায় কাঙ্ক্ষিত বিশ্রামে ছিল মিরপুর স্টেডিয়াম। তাইতো সবুজ ঘাসগুলি মন ভরাচ্ছে ক্রিকেটারদের। প্রায় সাড়ে চারমাস পর মিরপুরে পা রেখেছেন জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক। করোনাকালে এ ক্রিকেটার একদম গৃহবন্দী ছিলেন। আজ থেকে শুরু করেছেন ঐচ্ছিক অনুশীলন। তার সঙ্গে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা, সৌম্য, সাব্বিররা ফিরেন।
এতোদিন ঘরে ফিটনেস ট্রেনিং ও ভার্চুয়াল মিটিং করে নিজেকে চাঙ্গা রেখেছেন। আজ থেকে শুরু করলেন স্কিল ট্রেনিং। নেটে ঘণ্টাখানেক ব্যাটিং করেছেন। এছাড়া রানিং ও জিম করেছেন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মতো কাজ করে প্রথম দিনের সেশন শেষ করে মুমিনুল। নিজের অনুশীলনের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুরকিয়া। অনেক দিন পর ক্রিকেটে ফিরতে পেরেছি। খুব ভালো লাগছে। প্রথম দিন হওয়ায় সব কিছু নতুন নতুন লাগছে।’
তার মতে, মাঠে পুরোপুরি অভ্যস্ত হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এরপর নিজের অবস্থান আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। মুমিনুল বলেন,‘মানিয়ে নিতে হয়তো সময় লাগবে। দুই তিনদিন বা চার-পাঁচদিন। আশা করছি খুব দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব। অনেক দিন ধরে বাইরে ছিলাম। খুব মিস করছিলাম। অবশেষে ভালো খবর যে শুরু করতে পেরেছি।’
দীর্ঘ লকডাউনে জাতীয় দলের সতীর্থ ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে সাত থেকে আটটি কনফারেন্স করেছেন মুমিনুল হক। ব্যাট-বল নিয়ে অনুশীলন করতে না পারলেও দীর্ঘ আলোচনায় টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিকাল বিষয়গুলি নিয়ে ভালোভাবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলায় ক্রিকেটাররা নিজ থেকে ভালো অনুভব করছেন বলে বিশ্বাস করেন মুমিনুল।
তার ভাষ্যে,‘লকডাউনের সময় আমরা ক্রিকেট নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ পেয়েছি। যেহেতু কোনো কাজ ছিল না। কেউ ফিটনেস কাজ করেছে। কেউ সাইকোলজিক্যাল কাজ করেছে। কোচদের সঙ্গে টেকনিক্যাল, ট্যাকটিকাল কাজ করেছে। কিভাবে খেলাটা স্কিলের দিক থেকে উন্নতি করা যায়। অনেকে তার ব্যক্তিগত কাজ করেছে কিভাবে নিজের খেলার আরও উন্নতি করা যায়। আমার কাছে মনে হয় খুব বেশি ভালো আলোচনা হয়েছে যেগুলি দিয়ে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি। খেলার ভেতরে থাকলে এগুলি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ কম হয়। মাঠের বাইরে থেকে খেলা কিভাবে উন্নতি করা যায় সেগুলি নিয়ে কাজ করেছি।’
খুলনা গেজেট/এএমআর