খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ মাঘ, ১৪৩১ | ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  মধ্যরাতে কেঁপে উঠলো দেশ, দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

গেজেট ডেস্ক

সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা ও সিলেটে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বজ্রপাতে এই প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে।

সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে ধান কাটতে গিয়ে তিন উপজেলায় ৬ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে ও দুপুরে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা হাওরের পৃথকস্থানে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, দুপুরে ছাতক উপজেলার দেবের গাঁও গ্রামের কৃষক মহিম মিয়া, বড়কাপন এলাকার কৃষক আরশ আলী,ও চরমহল্লা গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ সকালে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে আকস্মিক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৩ কৃষক ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষিপুর এলাকার চৌদ্দকুড়ি হাওর ও কালাদেউরা হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আরও ২ কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষকরা হলেন- দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের রনভুমি গ্রামে কৃষক তারা মিয়া ও মিলন মিয়া।

দোয়ারা বাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর জানান, হাওরে ধান কাটতে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়।

এ ছাড়াও সকালে তাহিরপুরে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রমজান মিয়া নামের আরেক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে আরেক কৃষক আহত হন।

নিহত কৃষক রমজান মিয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন কুকুর কান্দি গ্রামের হাছন আলীর ছেলে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার জানান, বজ্রপাতে একজন কৃষক নিহত হয়েছেন এবং একজন আহত হয়েছে।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারে পৃথকস্থানে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় সকালে ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন দুজন।

কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর তিলক পুর গ্রামের বাসিন্দা শম শব্দকর (৪২) সকাল ১০টার দিকে ঘাস কেটে ফসলের মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা গরুটিও মরে যায়।

এদিকে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন (৩২) বজ্রপাতে মারা গেছেন। একই ঘটনায় হায়দর মিয়া নামের আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হাইল হাওরে ধান কাটতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মিঠুন ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেছেন, বজ্রপাতে ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহযোগিতা করা হয়েছে।

নেত্রকোনা

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমির ধান কাটার সময় বজ্রপাতে রবিকুল হাসান (৩০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে ও হাবুল্লাহ হাসান (২৫) নামের এক কৃষক আহত হয়েছেন।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষান গ্রামের এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিকুল হাসান ও আহত হাবুল্লাহ হাসান আপন দুই ভাই এবং একই গ্রামের আব্দুস কুদ্দুসের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির পাশে বিলে জমিতে ধান কাটার কাজ করছিলেন রবিকুল ও হাবুল্লাহ। এ সময় বজ্রপাতে আহত হন দুজন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিকুল হাসানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সিলেট

বর্ষা মৌসুম শুরুতেই সিলেটে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে চলেছে।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার মোহাম্মদপুর এলাকার বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নিহত ব্যক্তি বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার মোহাম্মদপুর এলাকার আনছার আলী (৭০)।

স্থানীয়রা জানান, সকালে জমিতে ধান কাটতে যান আনছার আলী। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!