গত ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘চান্দ্রভাষ কবিতা আকাদেমি’র মুখপত্র ‘চান্দ্রভাষ’ আয়োজিত বিশেষ সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার পঞ্চসায়রে। পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধন সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের মূল কেন্দ্রে ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও ঢাকা ‘বাংলা আকাদেমি’র ডাইরেক্টর রহিমা আখতার কল্পনা এবং তাঁর পুত্র তরুণ চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা সঙ্গীতশিল্পী দেবাশিস কায়সার। অনুষ্ঠানে ‘চান্দ্রভাষ’-এর পক্ষ থেকে রহিমা আখতার কল্পনাকে উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন সম্পাদক শান্তা চক্রবর্তী। সম্পূর্ণ বৈঠকী আড্ডার মেজাজে এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি ছিল কবিতা পাঠ, সংগীত এবং আলোচনায় জমজমাট।
দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতা সহ অন্যান্য জেলার বিশিষ্ট কবিরা কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি রহিমা আখতার কল্পনা, অমৃতেন্দু মন্ডল, কানাইলাল জানা, বাবলু চট্টরাজ, আয়েশা খাতুন, মহাদেব নস্কর, শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, উপগুপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত ত্রিবেদী, শান্তা চক্রবর্তী, পার্থসারথি মজুমদার, নন্দিতা পাল প্রমুখ।
সংগীত পরিবেশন করেন এই সময়ের বিশিষ্ট স্বনামধন্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী জয়ন্তী সরেন, দেবাশিস কায়সার এবং দেবশ্রী। স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য,’চান্দ্রভাষ’-এর দীর্ঘ জার্নি , দশক ওয়ারি কবিতা সংকলনের গুরুত্ব ও বর্তমান বাংলা কবিতাচর্চার গতিপ্রকৃতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুবিমল সরকার, উপগুপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, অমৃতেন্দু মন্ডল, অজিত ত্রিবেদী, শান্তা চক্রবর্তী।
এছাড়া মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে উপস্থিত ছিলেন মমতা সরকার সহ স্থানীয় বিশিষ্ট সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনস্ক অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। ‘চান্দ্রভাষ কবিতা আকাদেমি’ পঞ্চসায়র এলাকায় নিয়মিত এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই সুধীসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে এবং তার মুখপত্র ‘চান্দ্রভাষ’ দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে চলার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, সর্বোপরি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সাময়িক পত্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ ধরনের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তথা পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘চান্দ্রভাষ কবিতা আকাদেমি’ এবং ‘চান্দ্রভাষ’ পত্রিকার সম্পাদক অজিত ত্রিবেদী ও শান্তা চক্রবর্তীর নিঃস্বার্থ নিরলস পরিশ্রম যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে ।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি