দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অপসারিত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন চৌধুরী চাকরি ফিরে কমিশনে আবেদন করেছেন। চাকরি হারানোর ১১ দিন পর রোববার সকালে তিনি দুদকে লিখিত আবেদন দেন।
শরীফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই আমাকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এটি সংবিধানের ১৩৫ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।
‘এ ছাড়া দুদকের চাকরি বিধিমালা-২০০৮-এর ৪৮ নম্বর বিধি অনুযায়ী, দুদকের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পুনরায় নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারে। এই বিধি অনুযায়ী, অপসারণ আদেশ পুনর্নিরীক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যাহার করে আমাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আবেদন জানাই।’
আবেদনে শরীফ উল্লেখ করেন, কমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে থাকার সময় তিনি ৭০টি বেশি মামলার সুপারিশ, মামলা ও অভিযোগপত্র জমা দেন। চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ কর্মরত অবস্থায় প্রায় ৭০টি অভিযোগ ও ৪২টি মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনুসন্ধানে এসব ঘটনার সঙ্গে জনগুরুত্বপূর্ণ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ পান।
শরীফ বলেন, ‘আমার পেশাদারত্ব সবসময়ই প্রশংসিত হয়। কমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্বপরিবারে প্রাণনাশেরও হুমকির সম্মুখীন হয়েছি।’
তার অভিযোগ, চাকরি থেকে অপসারণের আদেশটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অমানবিকভাবে করা হয়েছে। তাকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়নি।
শরীফ দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে থাকার সময় নানা তদন্ত চালিয়ে আলোচিত হন। তাকে সেখান থেকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম