সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আকড়াখোলা বাজারে কাঁঠাল বিক্রেতার কাছে দাবীকৃত লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে জোর করে প্রতিদিন ৪টি করে কাঁঠাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বাঁধা প্রদান করায় চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য কর্তৃক ওই ব্যবসায়ীর ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় চাঁদাবাজ চক্রের ৩জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে আদালতে মামলা করার পর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ঘটনাটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আকড়াখোলা গ্রামের।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মোচড়া গ্রামের মৃত বাবুর আলীর ছেলে আলী মোড়ল প্রতিদিন আকড়াখোলা বাজারে কাঁঠাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাশাপাশি গ্রাম মুকুন্দপুর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে জিয়া ইসলাম, ছালাম সরদারের ছেলে আবুল কালাম ও জিয়ার ছেলে ইয়াছিন বেশ কিছুদিন ধরে আলী মোড়লের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রায়ই তার ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাজারে নিয়ে আসা কাঁঠাল নিয়ে দাম না দিয়ে আসামিরা চলে যেত। এসব নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়া ছাড়াও চাঁদাদাবির ঘটনা বাজার ব্যবসায়ী সমিতিকে অবহিত করেন ভুক্তভোগি। এতে চাঁদাবাজ চক্র আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ক্ষতি করার পরিকল্পনা করতে থাকে। গত ১৪ জুলাই বাদী তার ছেলে খায়রুল বাসারকে বিদেশে পাঠানোর জন্য স্থানীয় বল্লী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি থেকে এক লক্ষ টাকা লোন গ্রহণ করেন। সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা দস্যুবৃত্তির উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে আসলে তাকে আটক করে প্রথমে মারপিট করে মাথায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাত করলে সে রাস্তার উপর পড়ে যায়। স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তার মাথায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়।
পরদিন ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩জনকে জ্ঞাত ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আহতের বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ৭৬৭/২২।
আদালত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ সদর থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা ওইদিনই থানা কর্তৃপক্ষ হাতে পেলেও এখনো মামলা গ্রহণ করেননি। বর্তমানে আসামিরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বাদীর। ফলে মামলা করে নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন বাদী ও তার পরিবার।
এব্যাপারে সদর থানার ওসি স.ম কাইয়ুম জানান, ঘটনার বিষয়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলার নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তকাজ চলছে। তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই বলতে পারছিনা।
খুলনা গেজেট/ এস আই