করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু মিছিল এনে দিয়েছে। অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে, সাংবাদিক অন্জন ব্যানার্জি, কবি ইন্দু সাহার পর এবার চলে গেলেন কবি- সম্পাদক ও সাহিত্য আন্দোলনের সেনাপতি এবাদুল হক।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার কানাপুকুরের ভূমিপুত্র এবাদুল হক সোমবার সকালে একটি বেসরকারি নার্সিংহোম মারা যান। কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। কখনো কখনো তিনি সুস্থ হয়েও উঠছিলেন। সবাই তার জন্য খুব উদগ্রীব ছিলেন। গণপ্রার্থনাও করছিলেন। কিন্তু এদিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ সকলকে শোকসাগরে চিরবিদায় নিলেন।
কবি এবাদুল হক ১৯৬০ সালের ৪ জানুয়ারী মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার কানাপুকুরে জন্ম গ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি কবিতা লেখা লেখি করতেন ১৯৮০সাল থেকে আবার এসেছি ফিরে বলে একটি সাহিত্য পত্রিকা ৪২ বছর ধরে ছেদহীনভাবে বের করছিলেন। তিনি ছিলেন দক্ষ সাহিত্য সংগঠক। তাই সাহিত্য চর্চার প্রসারের জন্যই তিনি এবং পুনশ্চ আরো একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করেন। কবি এবাদুল কবি তা চর্চাকে মাটির কাছাকাছি নিয়ে। তাঁর নিজের লেখা কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৭। সেগুলি হল কবিতা ও কাকলি, সূর্যাস্তের আগে ও পরে, নাগকেশরের ফুল, অগ্নিজল, বাউলজল, এক গ্লাস জলের ছায়া, পলাতক ছায়া। তাঁর মৃত্যুতে কলকাতা- মুর্শিদাবাদ সহ পশ্চিমবঙ্গে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কলকাতাতে একের পর এক চলে গেলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক অঞ্জন ব্যানার্জি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাই অসীম ব্যানার্জি, কবি ইন্দু সাহা সহ অনেকেই। যেন মৃত্যু মিছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম