বাগেরহাটের চিতলমারীতে শত বছরের পুরানো একটি পথ কাঁটার বেড়া দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। শুধু বেড়া নয় ভ্যান, মোটরসাইকেল ও যান চলাচল বন্ধে প্রতিপক্ষরা ওই পথটির মাঝে নালা কেটেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক দম্পত্তিসহ ৮ টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পথ কাঁটামুক্ত ও বিচারের দাবিতে কলেজ শিক্ষক বুলবুল বসু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
উপজেলার শিবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন বসুর ছেলে ও চিতলমারী সরকারী বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের প্রভাষক বুলবুল বসু জানান, তিন বছর আগে প্রতিবেশী কুমদ মন্ডলের কাছ থেকে তিনি ৫ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন।
সম্প্রতি ক্রয়কৃত ওই জমি কুমদ ম-লের ছেলে অশোক মন্ডল ও রতন মন্ডল তার কাছে ফেরত চায়। ক্রয়কৃত ও ভোগদলীয় জমিটি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বুলবুলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসির চলাচলের শত বছরের রাস্তাটি বরই গাছের কাঁটার বেড়া দিয়ে বন্ধ দেয়। ফলে তাঁর বৃদ্ধ পিতা-মাতা, শিশু সন্তান ও স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিউলি পোদ্দারসহ ৮ টি পরিবারের লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
অপর দিকে রতন মন্ডলের স্ত্রী সীমা মন্ডল বলেন, ‘আমার শশুর কুমদ মন্ডল সহজ সরল প্রকৃতির নিরক্ষর মানুষ। তাকে ভুল বুঝিয়ে বুলবুল বসু বছর তিনেক আগে আমাদের ৫ শতক জমি জালিয়াতি করে লিখে নিয়েছে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তার কাছে ওই জমি ফেরত চেয়েছি। সে আমাদের জমি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সে কারণে আমাদের নিজেদের ভোগদখলীয় জমিতে বেড়া দিয়েছি। বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হলে বেড়া খুলে দেব।’
এ ব্যাপারে ৪ নং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওলিউজ্জামান জুয়েল খলিফা জানান, প্রতিবেশীদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের শিক্ষক বুলবুলের যাতায়াতের রাস্তা বেড়া দেওয়ার বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ভাবে বেড়া খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বিষয়টির একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল।
খুলনা গেজেট/এসজেড