‘রক্ষার কথা বলে বিশাল সালিস বৈঠক করলেন। বৈঠক শেষে জরিমানা হিসেবে আদায় করলেন নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কর। ভরা বৈঠকে দায়িত্ব নিলেন গৃহবধূকে সম্মানের সাথে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু রক্ষক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য পথিমধ্যে ওই গৃহবধূর শ্লীলতাহানী ঘটান।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) সকালে ভূক্তভোগী গৃহবধূর এসব অভিযোগে করা মামলায় সালিসদার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অপূর্ব কুমার মন্ডল (৩৭) ওরফে নিত্যা এখন জেল হাজতে। আর ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।
অপূর্ব কুমার মন্ডল উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য ও চরবানিয়ারী গ্রামের ব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সোমবার (২৯ জানুয়ারী) ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অপূর্ব কুমার মন্ডল সালিসদার এবং রক্ষাকর্তা হয়ে ওই গৃহবধূকে সাথে নিয়ে তার স্বামীর বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার একটি গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে দীর্ঘ সময়ের সালিস বৈঠক শেষে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ও রুপার অলঙ্কার জরিমানা আদায় করেন। ভরা বৈঠকে দায়িত্ব নেন গৃহবধূকে সম্মানের সাথে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার।
কথামত গৃহবধূকে মোটরসাইকেলের পিছনে বসিয়ে চিতলমারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় রাত ৮ টার দিকে চিতলমারী উপজেলার বাখেরগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে রক্ষক অপূর্ব কুমার মন্ডল ওই গৃহবধূর শ্লীলতাহানী ঘটায়। পরে গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে এলাকাসি ছুটে এসে অপূর্ব কুমার মন্ডলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী গৃহবধূ বাদী থানায় (১১ নং) মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী ওই গৃহবধূ বলেন, ‘অপূর্ব কুমার মন্ডল নিত্যা সম্পর্কে আমার দাদু হয়। সে আমার মানসম্মান এবং স্বামী সংসার রক্ষার কথা বলে আমাকে রূপসায় নিয়ে যান। রক্ষকর্তা হয়ে সে আমার শ্লীলতাহানী করেছে। সেই সাথে সংসারও ভেঙেছে। আমি ওর উপযুক্ত বিচার চাই।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা রুজ্জু করা হয়েছে। আটককৃত অপূর্ব কুমার মন্ডলকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে