খুলনার পাইকগাছায় লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে (যার নং ২)।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ভিকটিম জেলার পাইকগাছা উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে একই এলাকায় অবস্থিত লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীতে পড়াশুনা করতো। করোনার কারনে মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও প্রতি রবিবার মাদ্রাসার সুপার কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের মোঃ আঃ হাকিম সর্দারের পুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান (৫৫) ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নিতেন। ঘটনার দিন সোমবার খুব সকালে মাদ্রাসার সুপার ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীর নানার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডাক দেয় এবং ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যেতে বলে। এরপর সকাল ৮টার দিকে মেয়েটি কাঁদাতে কাঁদতে তার নানীকে বলে মাদ্রাসার হুজুর পড়ার কথা বলে আমাকে তার শোয়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২ ডিসেম্বর) নানী বাদী হয়ে মাদ্রাসার সুপারের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী জানান, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতেই ধর্ষনের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট /এমএম