বাগেরহাটে চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার পাটরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আটক করে তাদেরকে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। পরবর্তী
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। প্রতারক চক্রটি বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ২০ টি ক্যাম্প করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোনাডাংগা গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান (৩০), বাগেরহাট সদর উপজেলার কোড়ামারা গ্রামের বাবর আলী মল্লিকের ছেলে জুয়েল মল্লিক ও একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী
শেখের ছেলে মোঃ মাহফুজুর রহমান (৩৪)।
আটক মিজানুর রহমান মোরেলগঞ্জ ইউনিয়নের বিষখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ান ডিজিটাল চক্ষু হাসপাতালের নামে চক্ষু ক্যাম্প করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা হিসেবে ২৬৫/এ, দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, ঢাকা-১২০৪ ব্যবহার করত প্রতারকর চক্রটি।তারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের স্বল্প মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া কথা বলে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
পাটরপাড়া গ্রামের শেখ মোঃ রাসেল ও শেখ রেজাউদ্দিন বলেন, কয়েকদিন ধরে বিভিন্নভাবে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের প্রচার করে প্রতারক চক্রটি।সকালে তারা পাটরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে একটি ব্যানার টানিয়ে চক্ষু ক্যাম্প শুরু করেন। রেজিষ্ট্রেশনের কথা বলে ৫‘শ থেকে ৬‘শ টাকা নেওয়ায় এবং কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তাদের প্রতারণার বিষয়টি আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়।তারা স্থানীয় খানজাহান আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এসএস লিয়াকত হোসেন ননীকে ইনজেকশন পুশ করলে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তিনি। পরে আমরা এদেরকে আটক করলে তারা তাদের প্রতারণার কথা শিকার করে টাকা ফেরত দিতে চান। আমরা এলাকাবাসী আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করেছি।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত পান্নু মিয়া বলেন, চক্ষু ক্যাম্পের নামে প্রতারণা করছিল একটি চক্র। এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পেরে ওদের আটক করে আমাদেরকে খবর দেয়।আমরা তিনজনকে আটক করেছি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেন বলেন, আমার কোন ষ্টাফের অপরাধের দায়ভার আমি বা স্বাস্থ্য বিভাগ নেবে না। তবে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোন অন্যায় করে থাকেন। তাহলে তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই