খুলনার কেডি ঘোষ রোডের হোটেল অ্যাম্বাসেডর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ঘড়ির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট সাড়ে ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ভবনের ৫টি দোকান ও অগ্রণী ব্যাংকের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে হোটেল অ্যাম্বাসেডর ভবনে নীচ তলায় ঘড়ির দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী দোকানেও। আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভবনে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ঘড়ির দোকানসহ ৫টি দোকান, ভবনে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের একটি অংশ এবং ব্যাংকের কম্পিউটার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে। এতে আটকে পড়া ২০-২৫ জনকে ফায়ার সার্ভিসের রেস্কিউ টিম ভবনের বাইরে থেকে উদ্ধার করে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ভবনের মালিক তন্ময় ভক্ত ও তার চাচা শ্যাম ভক্ত বলেন, ভোর রাতে ঘড়ির দোকানে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে। ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে আগুনে কয়েকটি দোকান ও ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংক ক্লেলে রোড কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান জিএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগুনের সংবাদ পেয়ে আমি ২ জন ম্যানেজারকে জানালে তারা সঙ্গে সঙ্গে চলে আসেন। আমিও সাড়ে ৪টার পরে চলে আসি। এসে দেখি নিচতলায় আগুন জ্বলছে। তবে ব্যাংকে আগুন লাগেনি। আগুনের কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানি দেয়। এতে ব্যাংকে থাকা ২৮টি কম্পিউটার, ডেকোরেশন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
খুলনার টুটপাড়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে প্রথমে টুটপাড়া ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে অন্যান্য ফায়ার স্টেশনের বিভিন্ন ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দেয়। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, আগুনে হোটেল অ্যাম্বাসেডর ভবনের ৫টি দোকান, ব্যাংকের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনও ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।
খুলনা গেজেট/এমএম