সাতক্ষীরায় ঘেরের বাঁধ কেটে মাটির ট্রাক নিতে বাধা দেয়ার ঘটনায় ছোট ভাই ও তিন ভাইপো কর্তৃক কুপিয়ে জখম করা বড় ভাই আনছার আলী সরদার (৭৫) মারা গেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১২ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে বৃস্পতিবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী এলাকায় বাইপাস বড় সড়কের ব্রীজের কাছে এঘটনা ঘটে।
নিহত আনছার আলী সরদার (৭৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের এছেম সরদারের ছেলে।
নিহতের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী এলাকায় বাইপাস সড়কের বড় ব্রীজের কাছে তার একটি ঘের রয়েছে। তার আপন চাচা আলী হোসেন সরদার ও চাচার তিন ছেলে দুলু, জুয়েল ও রুবেল তাদের ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে ট্রাকের করে নিজেদের ঘেরে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বৃস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ও তার বাবা আনছার আলী সরদার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধের ক্ষতি করে ট্রাকে মাটি নিতে তাদেরকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা আলী হোসেন ও তার তিন ছেলে দুলু, জুয়েল ও রুবেল ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে। তারা তিনজন আমার বাবা অনছার আলী সরদারসহ আমাকে ধারালো দা দিয়ে উপর্যপুরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একপর্যায় আমাদের দু’জনকে মৃত ভেবে সেখানে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু বাবা আনছার আলী সরদারের অবস্থার ক্রমাবনতি হতে থাকায় রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে ৭টার দিকে আমার বাবা মারা যান। বাবা’র মৃত দেহে দখোর জন্য আত্মীয়রা সকালে আমাকে সদও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিত অধিকারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় নিহতের ছেলে আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে শনিবার (১১ জুন) সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার দায়ের করা এই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ