মৎস্য ঘেরের পাড়ে টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষী মোস্তফা। তিনি যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মোস্তফা গাজী গড়ে তুলেছেন মৎস্য ঘেরের পাড়ে একটি টমেটো চাষের প্রকল্প। এই টমেটো জাতটির নাম হলো মিন্টু সুপার। প্রকল্পে টমেটোর চারা ২৫-২৬ শতাধিক রোপণ করেন। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি চারাগুলি রোপণ করেন।
সরেজমিনে, প্রায় ১ কি: মি: ঘেরের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই টমেটোর চাষ। দেখা গেছে ৫-৬ জন শ্রমিক এই টমেটো চাষের পরিচর্যার কাজে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কানায় কানায় ফল ও ফুলে ভরে আছে টমেটো গাছে।
কথা হয় টমেটো চাষী মোস্তফা গাজীর সাথে। তিনি বলেন, খুব কম সময়ে টমেটো চাষ করে সাবলম্বী হওয়া যায়। ফলনও দীর্ঘদিন বিক্রয় করা যায়। তার এই কাজে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকার মতো।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য চাষে লাভবান না হওয়ার কারণে আমি এই টমেটো চাষে ঝুঁকেছি। আমি দুই একদিনের মধ্যে প্রায় ৩০-৪০ মণ টমেটো বাজারজাত করার কথা ভাবছি। এবছর ৭-৮ লাখ টাকার টমেটো বিক্রয় হবে বলে ধারণা করছি।যদি সঠিক দাম পায় তাহলে অধিক লাভবান হবো। এতে আমাকে দেখে এই এলাকার বা আশপাশের অনেক চাষী আছে তারাও টমেটো চাষে ঝুঁকবেন।
টমেটো চাষ প্রকল্পের পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত শ্রমজীবিরা আনন্দ বাবু, মাসুম গাজী, এনায়েত মোল্যা, ইলাহী বক্স, সঞ্জয় ব্যানার্জী বলেন, মিন্টু সুপার জাতের টমেটো গাছের ২৫ থেকে ২৬ শত চারা রোপণ থেকে শুরু করে আমরা প্রায় আড়াই মাস যাবৎ টমেটো গাছের পরিচর্যা করে আসছি। গাছে এখন প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। তাতে করে দেখা যাচ্ছে মোস্তফা গাজী অনেক লাভবান হবে। এবং এলাকার কৃষকেরা এই টমেটো চাষে আগ্রহী হবে।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, আমি ইতোমধ্যে টমেটো চাষ প্রকল্পের ভাল খবর জেনেছি। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। আমি আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে পরিদর্শনে যাব।
খুলনা গেজেট/এনএম