বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্মচাপটি ঘূর্নিঝড় রেমালে রুপ নিয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাট উপকূলে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বষ্টির সাথে থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে।
শরণখোলার রায়েন্দা এলাকার মতিন জানান, সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। তবে বাতাসের গতিবেগ খুব বেশি নয়।
বাতাসের সাথে বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোংলা উপজেলা বাসিন্দা শুকুর।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার মোংলার আবহাওয়াবিদ হারুন অর রশিদ বলেন , ঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া বইছে। কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিও হয়েছে। বর্তমানে মোংলায় ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, জেলায় ৩৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ হয়েছে। এই ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া অন্য পোল্ডারগুলোর বেশ কিছু পয়েন্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোথাও যাতে বাঁধ ভেঙে যেতে না পারে, সে জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের ৩৫৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনে ২ থেকে ৩ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিতে পাড়বেন। আগামীকাল দুপুরের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলতে বলা হয়েছে। আমাদের পযাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে যাতে এই ঝড়ে ক্ষতি কম হয়, সেজন্য আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, এবারের ঝড়টি একটু ব্যতিক্রম। ঝড়টি একটু বেশি সময় জল ও স্থলভাগে অবস্থান করবে। যার ফলে দীর্ঘক্ষন বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য বাগেরহাটবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান জেলার শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/কেডি