ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব এখনও পর্যন্ত মোংলায় তেমন একটা পড়েনি। ঝড়ের কারণে মোংলা বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ার সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। গত রাতে হালকা-মাঝারি ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেলেও কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। আজও সকাল থেকে রোদ্রজ্জল আবহাওয়া বিরাজ করছে।
এনিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক প্রস্তুতি সভা করেছেন। দুর্যোগ মোকাবেলা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে ঝড় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতিও রয়েছে। এবার বেশ আগে থেকে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ায় সময় সুযোগ পেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সাধারণ লোকজন বলছে, ভয় তো আছেই, করবো কি আমাদের তো কাঁচা ঘর, ঝড় আসলে মসজিদে, বিল্ডিংয়ে যেতে হবে। তবে এবার প্রশাসনের প্রস্তুতিও ভাল বলছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
মোংলায় ১০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। প্রস্তত রয়েছে প্রায় ১৪ শ’ স্বেচ্ছাসেবক। খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওষুধ ও শুকনো খাবার মজুদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে বেশি নজরদারী করা হচ্ছে মোংলার কানাই নগর, চিলা, জয়মনিরঘোল এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি। কারণ এ এলাকাগুলো অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়া প্রস্তুতি সভার করে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ডও।
খুলনা গেজেট/কেএম