বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আগামীকাল রোববার (২৬ মে) রাতে কলকাতার শ্যাম প্রসাদ মুখার্জি বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রোববার রাতে সবমিলিয়ে ১২ ঘণ্টা কার্গো এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিং অপারেশন বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বন্দরের শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)।
উপকূলপর্তী নিম্নাঞ্চল ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, রোববার রাতে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাবে। ওই সময় ঝড়টির গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আর ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। যা সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিডব্লিউওটি’র প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেনের সই করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।
বার্তায় বলা হয়, এ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তিমাত্রা হতে পারে ক্যাটাগরি-১। তবে আশা করা যায় ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি এটি গতিবেগ পাবে না। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে এটি তার পূর্ণ শক্তিতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। যদিও দমকা বা ঝোড়ো বাতাসের বেগ আরও কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
সূত্র: মিন্ট