এলোমেলো বোলিংয়ে কাজটা খুব কঠিন করে দিয়েছিলেন নাসুম-মুস্তাফিজরা। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ দেয় জিম্বাবুয়ে। যে চ্যালেঞ্জের সামনে লড়াই করেও জিততে পারল না বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সঙ্গী ১৭ রানের পরাজয়।
এই হারে তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবুও হাল ছাড়ছেন না অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বরং পরের ম্যাচে শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন অধিনায়ক।
তিন ম্যাচ সিরিজেত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল রোববার ফের জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ম্যাচটি শুরু করলেও মনোবল মোটেই হারাচ্ছেন না সদ্য বাংলাদেশের নেতৃত্ব পাওয়া সোহান।
হারারেতে আজ শনিবার ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা এই রান তাড়া করে জিততে পারব। পিচ খুব ভালো ছিল। তবে আশা করছি, শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
সেই সঙ্গে বোলারদের নিয়ে হতাশা ফুটে উঠল অধিনায়কের মুখে। সোহান বলেন, ‘আগামী ম্যাচগুলোতে কিছু ওভারে আমাদের উন্নতি করতে হবে। ১০-১৫ রান কম হলে আমাদের জন্য ইতিবাচক একটি ম্যাচ হতো।’
হারারেতে আজ ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ১৮৮ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। ১৭ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ক্রেইগ আরভীনের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ২০৫/৩ (চাকাভা ৮, আরভিন ২১, মাধেভেরে ৬৭ (আহত অবসর), উইলিয়ামস ৩৩, রাজা ৬৫*, বার্ল ০*; তাসকিন ৪-০-৪২-০, নাসুম ৪-০-৩৮-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৫০-২, সৈকত ৩-০-২১-১, শরিফুল ৪-০-৪৫-০, আফিফ ১-০-৬-০)।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮৮/৬ (মুনিম ৪, লিটন ৩২, এনামুল ২৬, শান্ত ৩৭, আফিফ ১০, সোহান ৪২*, সৈকত ১৩, নাসুম ০*; এনগারাভা ৪-০-৪৩-১. মাসাকাদজা ৩-০-২৩-১, চিভাঙ্গা ৩-০-২৮-০, উইলিয়ামস ২-০-৭-০, রাজা ৩-০-৩০-১, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৪-২, মাধেভেরে ১-০-১২-০)।