খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

ঘুমের মধ্যে সাপের কামড়ে দুই মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

গেজেট ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সাপের ছোবলে দুই মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় সোমবার(১ আগষ্ট) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল কাদের তাদের মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

মৃত আব্দুল্লাহ মিয়া দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের ডাক্তারপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং জুনায়েদ হোসেন ওই একই গ্রামের মাঝের পাড়ার শওকত আলীর ছেলে। তাদের বয়স ১৩ বছর।

তারা চন্দ্রবাস দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল। আবাসিকে থেকেই লেখাপড়া করত তারা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘ভোর ৪টার দিকে যখন বাইরে বের হই তখন দেখি আব্দুল্লাহ ও জুনায়েদ বমি করছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে কিছু একটা কামড় দিয়েছে, তাই বমি হচ্ছে। এ সময় দেখি আব্দুল্লাহর ডান পায়ে এবং জুনায়েদের বাম হাতে ছোবলের চিহ্ন।

‘আমার সন্দেহ হলে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগীতায় তাদেরকে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। ওই গ্রাম্য চিকিৎসক তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।’

মাদ্রাসার পরিচালক হাজী আক্তার ফারুক বলেন, ‘ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের সাপে ছোবল দেয়। পরে তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে মারা যায় তারা।’

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল কাদের বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তাদেরকে সাপে কেটেছে বলে পরিবারের লোকজন জানান।

‘আমরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেই। তবে কোন সাপ তাদের ছোবল দিয়েছে তা বলতে পারেননি তারা। তাদের শরীরে এন্টিভেনম ইনজেকশন দেয়া হচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে মারা যায় ওই দুই ছাত্র।’

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ওই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!