বাগেরহাটের ফকিরহাটে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযাগে মডেল থানায় একটি মামলাহ য়েছে। রোববার (২৮ আগষ্ট) দুপুরে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে একজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলার একমাত্র অভিযুক্ত আসামী বখাটে রবিউল শেখকে (৩০) আটক করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সঞ্জিব কুমার পাল মামলার বরাত দিয়ে জানান, শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মামকাটা গ্রামের বখাটে রবিউল শেখ সুকৌশলে দরজা খুলে ওই শিশুকন্যা যে কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল সেই কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর শিশুটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে বাড়ীর পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটির ঘুম ভেঙে যায়। শিশুটির আর্তচিৎকারে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত রবিউল শেখকে হাতে-নাতে আটক করে। পরেরদিন শনিবার আটক রবিউল শেখকে পুলিশের নিকট সোর্পদ করেন। রবিউল শেখ মাসকাটা গ্রামের মো. ছালাম শেখের ছেলে।
ওই শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রবিউল শেখ বিভিন্ন সময় ওই মেয়েটিকে রাস্তায় পেলে বিভিন্ন ভয়ভীতি
দেখানোসহ উত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিয়ে ছেলেটির অভিভাবকদের কাছে বিচার দিলেও কোন সুরাহা হয়নি। মেয়েটির বাবা একজন দিনমুজুর হওয়ায় বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মু. আলীমুজ্জামান বলেন, ১১ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রবিউল শেখকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তধীন রয়েছে।