প্রতারণার ৩ মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের দুই পরিচালকসহ ৫ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিকেলে সিএমএম কোর্টের ৩৬ নম্বর আদালতের বিচারক বেগম শান্তা আক্তার তাঁদের জামিন দেন। এর আগে আসামিদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক (মাহী) আদালতের শুনানি শেষে বলেন, তিনটি মামলাই মিথ্যা। তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।
এর আগে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ট্রান্সকম গ্রুপের এই ৫ কর্মকর্তাকে। বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় ৩টি মামলা করেন। এসব মামলায় কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মোট ৮ জনকে। এর মধ্যে ৫ জনকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন শাযরেহ হকের বড় বোন ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান; সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেনে এবং শাযরেহ ও সিমিন রহমানের মা ও ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান।
দেশের অন্যতম বড় ব্যবসা–প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ট্রান্সকম গ্রুপ। গ্রুপটির অধীনে পরিচালিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, ট্রান্সকম বেভারেজেস, ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন, ট্রান্সকম কনজিউমার প্রোডাক্টস, ট্রান্সকম ফুডস, ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস, ট্রান্সক্রাফট, মিডিয়াস্টার অন্যতম।
খুলনা গেজেট/ টিএ